শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বাস, এমপিও অধিভুক্তকরণ, ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট কমানো ও করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর মত অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে আগামী জাতীয় বাজেট। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের দ্বাদশ এ বাজেট হতে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।
এ বাজেটের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
এ বছরের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, স্যানিটেশন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে এনার্জি ও ইলেকট্রিসিটি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে।আগামী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি হতে পারে ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি থাকবে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার হতে পারে ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে।আগামী বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপিতে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।চলতি অর্থবছর শেষে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। দেশে করপোরেট ট্যাক্স বেশি এটি এ বছরের বাজেটে কমানো হবে। তবে ট্যাক্সের পরিধি বাড়বে। দেশের ৫০-৬০ শতাংশ মানুষকে ট্যাক্স এর আওতায় আনা হবে বলে ধারণা করছে সরকার।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন যে, আলোচিত আগামী বাজেটে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।