চলচ্চিত্র তারকাদের যখন নানামুখী ইমেজ সংকট, ঠিক সে সময় আফরান নিশোর চলচ্চিত্রে ফেরাকে কেন্দ্র করে দারুণ কৌতূহলের তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি আড়ম্বরপূর্ণ মহরত শেষে নির্মাতা ছবিটির শুটিংয়ের কাজ শুরু করেছেন।
‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ ছবিটির পর রায়হান রাফি দুটি ওয়েব ফিল্ম সেভাবে আলোচনায় না এলেও আফরান নিশোর ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে এক ধরনের আশাবাদের গল্প শোনা যাচ্ছে। নিশো তার প্রথম সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জাকে। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে চরকি ও আলফা আই স্টুডিওজ।
সুড়ঙ্গ নিয়ে আফরান নিশো বলেন, ‘আমার সব সময়ই ইচ্ছা ছিল বড়পর্দায় কাজ করার। রাফি এখন জনপ্রিয় নির্মাতা। বড়পর্দায় যেমন প্রথম কাজ, রাফির সাথেও প্রথম কাজ হচ্ছে আমার। আমি তাকে যতটুকু সম্ভব অ্যাপ্রিশিয়েট করি। প্রথম কাজে একটু রিস্ক থাকে। যেহেতু সবাই আমরা হার্ড ওয়ার্ক করছি। আমাদের ডিওপি এক মাসের বেশি সময় ধরে এটার সাথে কাজ করছে। পুরো টিম একসাথে আছে। সেহেতু ভালো কিছু হবে আশা করি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
তমা মির্জা বলেন, ‘রাফির সাথে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’-তে কাজ করে সবার প্রশংসা পেয়েছি। এজন্য তার কাছে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। তার কাছ থেকে শিখছি আমি।’
আফরান নিশোর প্রসঙ্গ টেনে তমা বলেন, ‘নিশো ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম কাজ। এই মানুষটার অনেক বড় ভক্ত আমি। তার ব্যাপারে বলতে অনেক নার্ভাস লাগে। কারণ আমি যতবার তার সাথে বসেছি স্ক্রিপ্ট, লুক নিয়ে, তাকে যত কিছুই জিজ্ঞেস করেছি উনি বলেছেন আর আমি মুগ্ধ হয়ে শুনেছি। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। ধন্যবাদ আমাকে আপনার বড়পর্দার জার্নির সাথে সঙ্গী করে নেওয়ার জন্য।’
রায়হান রাফি বলেন, ‘সুড়ঙ্গ আমার অনেক পছন্দের একটা গল্প। অনেকদিন আগে থেকেই এই গল্পটা আমি বানাতে চাই। কিন্তু এই গল্পটা বানানোর জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। কিছু কিছু গল্প শুধুমাত্র পরিচালক বা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মিলে সম্ভব নয়। সুড়ঙ্গের জন্য আমি এমন দুটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে পেয়েছি। আমি শুধু এটুকু বলবো, দর্শকরা দারুণ কিছু পাবেন।’
ছবিটির শুটিংয়ের কাজ অনেকখানি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এরই ভেতরে চলচ্চিত্রটি দেশের বাইরে চড়ামূল্যে ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য বিক্রি হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জন্য বায়োস্কোপ ফিল্মসের সাথে চুক্তি গড়েছে ছবিটি। ছবিটি রেকর্ড বাজেটে কিনেছে বায়োস্কোপ ফিল্মস। সুড়ঙ্গ প্রসঙ্গে বায়োস্কোপের কর্ণধার রাজ হামিদ বলেন, ‘আমি মনে করি, আফরান নিশোর প্রথম চলচ্চিত্র এবং রায়হান রাফির নির্মাণ দুটো ফ্যাক্টরই কাজে দিয়েছে। আর ছবিটি নিয়ে দর্শক কৌতূহলের জায়গাতেও দারুণ এক চাহিদা তৈরি করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।