নিউজ ডেস্ক: পরকীয়ার ঘটনার বিষয়ে নালিশ জানানো কৃষক মোবারক নিজেও যুক্ত ছিলেন আরেক পরকীয়া সম্পর্কে। আর এসব ঘটনার জেরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোরী গ্রামের বিলে তাকে হত্যা করা হয় তাকে। শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি এ তথ্য জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৫ জুন বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোরি গ্রামের মৃত খয়ের উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন খুন হন। মোবারককে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে সোনাবাজুর কাচু খার স্ত্রী আরিফা বেগমকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত বলে স্বীকার করেন এবং অপর তিনজন প্রেমিকের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা জানান। পরে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- সোনাবাজু গ্রামের ইমরুল প্রামাণিকের ছেলে রশিদ প্রামাণিক, একই গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জিহাদ আলী এবং ইকোরি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আসাদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন আরিফা। তিনি নিহত মোবারকসহ ৪ জনের সাথেই অবৈধ মেলামেশা করতেন ও তাদের কাছে থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন। মোবারক ঠিকমত আরিফাকে টাকা না দেওয়া এবং তিনিসহ অন্যদের সাথে আরিফার সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেন। এতে আরিফা ক্ষুদ্ধ হয় এবং অপর তিন প্রেমিককে নিয়ে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন মোবারক গরু চড়াতে গেলে আরিফা বেগম শারীরিক মেলামেশার প্রলোভন দিয়ে মোবারককে পাটক্ষেতে ডেকে নিয়ে যান। এরপর কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মোবারককে হত্যা করেন এবং এরপর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যার পরে আসামিরা মোবাইল ফোনে কোনরূপ যোগাযোগ করেননি। কিন্তু পারপার্শ্বিকতা বিবেচনায় পুলিশ বিচক্ষণতার সাথে আরিফাকে টার্গেট করে আটক করে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।