দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন ২০১৮ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার বেলা ১১টায়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ১৬ মে সংসদের এ ২১তম অধিবেশন আহ্বান্ করেছিলেন। এ অধিবেশনে বহু কাঙ্ক্ষিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ এবং পাস করা হবে। এ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশন দীর্ঘ সময় নিয়ে হবে।
বাজেট অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উক্ত বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের বাজেট সম্পর্কিত আলোচনায় সহযোগিতা করার জন্য বাজেট ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আয়োজনে এবং বাজেট এ্যানালাইসিস অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (বিএএমইউ) এর সহযোগিতায় সংসদ ভবনের উত্তর-পূর্ব ব্লকের ৩য় লেভেলে অবস্থিত নোটিশ অফিসের সামনে এই ডেস্ক চালু করা হয়েছে ।
জানা গেছে এবারের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতির হার রাখা হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। কর্পোরেট কর হার বিগত বছরের তুলনায় এবার কম ধার্য করা হবে বলে জানা গেছে। বাজেটে দেশের উন্নয়ন খাতের জন্য বরাদ্দ অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৩৪ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং অনুন্নয়ন খাতে ২৯৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে পরিবহনখাতে অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু ও এতে রেল সংযোগ স্থাপনের জন্য সর্বাধিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। দেশের প্রতিটি গ্রাম যেন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয় এবং শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ জরুরি। ২২ হাজার ৯৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে। এছাড়াও গুরুত্ব পাবে শিক্ষা খাত বিশেষ করে নারী শিক্ষা, চিকিৎসা খাত। এছাড়াও এবারের বাজেটে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হবে ।
জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই হতে যাচ্ছে সরকারের শেষ বাজেট। দেশের সাধারণ মানুষের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে সে দিক বিবেচনা করে এবারের বাজেট পেশ করবে সরকার। গুরুত্ব বিবেচনা করে এবারের বাজেটে বরাদ্দ ঠিক করা হয়েছে এবং প্রকল্পের গুরুত্ব অনুযায়ী বাজেট পেশ করা হবে। বাজেট নিয়ে অর্থিনীতিবিদ এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। এখন অপেক্ষা শুধু চূড়ান্ত বাজেট প্রণয়নের জন্য। যার মাধ্যমে দেশের তৃণমূল থেকে উন্নয়ন হবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত হবে।