নিউজ টাঙ্গাইল সম্পাদকীয় :
গতকাল তনু, আজ রুপা, আগামীকাল……? এভাবে আর কতো রুপা, তনুর মতো আমাদের মা’ বোনদের ইজ্জত এবং জীবন নিয়ে খেলা করবে মানুষ নামের নরপশুরা?
তারা কি মায়ের গর্ভে জন্মায়নি অথবা কোন বোনের ভাই নয় ?
হয়তোবা না। তেমনটি হলে এভাবে অন্যের মা, বোনের সাথে পশুবৃত্তি আচরণ করতে পারতো না।
তোরা কি ভেবেছিস তোদের মা, স্ত্রী, মেয়ে, বোন অন্যের বাসে উঠে।
তুই যা করেছিস তোর পরিবারের কারো যদি কেউ ঠিক এমনটিই করতো তবে কেমন লাগতো তোর?
যারা ইজ্জত এবং জীবনের মূল্য দিতে জানে না, তাদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। কারণ তাদের কাছে তাদের পরিবারের মা, বোন, মেয়েও নিরাপদ নয়?
এখন সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তরে বিরাজ করছে নিরাপত্তাহীনতা। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া, রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণে পার পাওয়া, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার দাপটে বিচার কাজকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা, পুলিশ ধরলেও জামিন পাওয়া এবং ধর্ষকদের উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় নিরুৎসাহিত না হয়ে অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে। সর্বোপরি ধর্মীয় অনুশাসনে বিমুখতার কারণেই ধর্ষণ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমরা যারা এই সামাজিক অনাচার, সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলি বা ভাবী, তারা সবাই এমন ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হই। তারপর আবার যখন এই ধর্ষকদের পক্ষে ক্ষমতাশালীরা দাঁড়ায় তখন মনের যন্ত্রণা কত তীব্র হয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে নারীদের যন্ত্রণা মাপার সাধ্য আমাদের নেই, মনে হয় পৃথিবীর কোনো পুরুষেরই নেই। কারণ নারীই এই সহিংসতার শিকার। আর এ ঘটনা যখন নিয়মিতভাবে ঘটেই যাচ্ছে তখন নারীর চলার পথ স্বভাবতই ভরে যাচ্ছে ধর্ষণের কোঠায়। এভাবে প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নারী। এতেও থামছে না ধর্ষক। ধর্ষণের পর ধর্ষিতাকে খুনও করা হচ্ছে।
আমরা রুপা, তনু হত্যার বিচার চাই। আমরা রুপা ও তনুকে হারিয়েছি। তার বিনিময়ে আমরা জীবন চাই। যাতে করে আর কোন মা-বোনদের হারাতে না হয়।