এ মামলার আসামীরা হলেন, সাগরদিঘী বেতুয়া পাড়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২৫), মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে হেকমত সিকদার (৫০), মৃত রাইজ উদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক হোসেন (৫৮), দেলোয়ার হোসেন (৫৫), আফাজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুল (৩৫) রাইজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফজল হক (৫২) ও সাগরদিঘী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (৩০)।
সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে শত্রুতা এবং বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হেকমত সিকদারের সমর্থন না করায় ক্ষিপ্ত হইয়া ষড়যন্ত্রভাবে মো. ফরহাদ আলীকে একাদিকবার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তৎপর হেকমত সিকদারের নেতৃত্বে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থে রাসেল মিয়া প্রধান আসামী মো. রুবেল মিয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনে। সিদ্দিক হোসেন ও রাসেল তাদের নিজস্ব সমিলে মো. রুবেল মিয়াকে চাকুরী প্রদান করে। এর পর থেকে মো. ফরহাদ আলী এডভোকেটকে হত্যার সুযোগ খুজতে থাকে।
গত ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার মো. ফরহাদ আলী এডভোকেট কাজ শেষ করিয়া বিকেল বেলায় ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী বেতুয়া পাড়া গ্রামের বাড়িতে যান। পরের দিন ২০ জুলাই শুক্রবার সারাদিন ওই বাড়িতে অবস্থান করেন। এর পর ২১ জুলাই শনিবার বিকেল ৪ টায় তাদের বাসায় সামনে মফিদুল ইসলাম ও মো. রুহুল আমীন নামের দুই জনের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলার সময় মো. ফরহাদ আলী এডভোকেটকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামীগণ দা, ফালা, চাপাতি দিয়ে আক্রমন করে। মো. রুবেল মিয়া চাপাতি দিয়ে হাত, মাথা, ঘাড়, বুক, মুখ নাক ও পিঠে কুপিয়ে জখম করে। মো. ফরহাদ আলীর সাথে থাকা মফিদুল ইসলাম ও রুহুল আমিনের আত্মচিৎকারে আশে পাশে লোকজন এসে মো. ফরহাদ আলীকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত ফরহাদ আলীর বাবা মো. হাফিজ উদ্দিনের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেড়ে এর আগে আসামীগণ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চতুর্থ তলায় ফরহাদ আলীকে মারধর করার জন্য আক্রমন করেছিলো। কতিপয় এডভোকেট মো. ফরহাদ আলীকে রক্ষা করেছিলো।
ওই বিষয়ে মো. ফরহাদ আলী এডভোকেট বার সমিতিতে প্রতিকারের জন্য আবেদন করলে আসামীগন তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করে মো. হাফিজ উদ্দিন।