সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (১৮ জুন উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া উত্তরপাড়ায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শ্বশুর ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে মৃত তারা সরকারের ছেলে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা না নেওয়া সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ট্রাইবুনাল-১ বাদি হয়ে পুত্রবধূ সোমবার (২১ জুন) ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস আগে উপজেলার বোয়ালিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম ড্রাইভারের ছেলে মো. শাকিব (২৮) এর সাথে একই ভুক্তভোগীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শহিদুল ড্রাইভারের ছেলে শাকিব মাদকাসক্ত হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে থাকে না। কয়েকদিন পূর্বে শাকিব জীবিকার উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জ চলে যায়।
এর মধ্যে গত শনিবার (১৮ জুন) শাকিবের দুই মা ছো নাবট বোনের বাড়িতে আম দুধ নিয়ে বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় তার বাবা শহিদ ড্রাইভার শাকিবের স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এমন ঘটনা নিয়ে উপজেলা বোয়ালিয়া এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা বলেন, আমার ছোট মেয়ের শ্বশুর শহিদুল ড্রাইভার আমার সম্পর্কে খালাত ভাই হয়। তার ছেলে শাকিবের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। মাদকাসক্ত হওয়ায় আমরা বিয়ে দিতে রাজি হইনি। শহিদুল জোরপূর্বক আমার মেয়েকে তার ছেলের সাথে নেয়। যে ঘটনা ঘটেছে এলাকায় ছি ছি পড়েরে গেছে। শহিদুল তার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষন চেষ্টা করে। সবাই বিচারের আশ্বাস দিলেও এখনও কেউ বিচার খলৈ দেয় নাই। তাই বাধ্য হয়ে আমার মেয়ে বাদি হয়ে আদালতে মামালা করেছে। আমরা শহিদুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে এলকাবাসি ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন, শহিদুল আসলেই একজন খারাপ মানু্ষ ঘরে তার এমন চরিত্রের জন্য প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার পরেও দুই দুইটা বউ বিয়ে করে বাড়িতে বসবাস করছেন। এখন তার নিজ পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে। শহিদুল ড্রাইভার আর আগেও অনেক নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ছিল। শহিদুল ড্রাইভার তার ছেলের বউয়ের দিকে যে কুনজর দিয়েছে এবং ধর্ষণ চেষ্টা করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
অভিযুক্ত শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ড্রাইভার বলেন, আমি আসলেই এ রকম কোন ঘটনা ঘটাই নাই। পুত্রবধূর বাবা তাকে কোনদিন আদর করে নাই, আমি বাজার থেকে আইসক্রিম এনে দিলে সে আবেগ আপ্লুত হয়ে গেলে সান্তনা দেওয়ার জন্য বুকের সাথে একটু আগলে ধরি। আসলে সে রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। আমার ছেলে ডান্ডি আঠা খায় তার জন্য রোকসানকে আমার ছেলের সাথে রাখবে না বিধায় আমার প্রতি এমন ন্যাক্কারজনক অভিযোগ করছে।
বড়হর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নান্নু বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা, দোষীকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারেরর দাবিও জানান তিনি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, আমি ১৯ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ছুটিতে ছিলাম এমন অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় এসেছিল কিনা আমার জানা নেই।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।