আশিক ইমরান, জেদ্দা সৌদি আরব প্রতিনিধি: বাণিজ্যিক নগরী জেদ্দায় আয়োজিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রথমবারের মত বাংলাদেশের ছয়টি সরকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বাংলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, নজরুল ইন্সটিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর।
মক্কার আমির প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি সদ্য প্রয়াত সৌদি আরবের বিশিষ্ট কবি খালাফের স্মরণে সন্মাননা প্রদান করেন। ৪২টি দেশের ৫০০ এর অধিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহন করেছে। মেলায় বাংলাদেশের স্টলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন ভ্রমন কাহিনী, শিশু কিশোরদের পত্রিকা, বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিচিতমুলক বই খুজতে দেখা গেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা জানান, তারা মেলায় এসে একুশে বইমেলার আমেজ খুজে পাচ্ছেন। তারা ভবিষ্যতে মেলায় আরও বড় পরিসরে সরকারী বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মেলায় বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, সৌদি আরবের বিশাল বাংলাদেশী কমুউনিটির পাশাপাশি বিদেশীদের কাছে মেলার মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এই মেলা ভূমিকা রাখবে। এছাড়া মেলার মাধ্যমে সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের সাথে সংস্কৃতির মেলবন্ধন গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই প্রথম জেদ্দা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, মেলার মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি বিদেশীদের কাছে দেশের সংস্কৃতির পরিচয় ঘটাতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন মেলায় আগত নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই মেলায় অংশগ্রহনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস এর উদ্যোগে ও জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেলের সার্বিক সহযোগিতায় বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
মেলায় চীন, জাপান, তুর্কমেনিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। মেলায় নিয়মিত চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। দশ দিনব্যাপী এই মেলা শেষ হবে ২৪ ডিসেম্বর।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।