নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলে এক সময়ের মাদক সেবীদের আখড়া আর বেদখল হয়ে যাওয়া স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন ‘এসপি পার্ক।’ শহরের পশ্চিম প্রান্তে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের অদূরে নৌহজং নদের পাশেই পার্কটির অবস্থান। এখানে রয়েছে ছোট-বড় সকলের জন্য বিভিন্ন রাইড। সকাল থেকে রাত অব্দি নারী-পুরুষ ও শিশুদের মতো বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে পুরো এলাকা। বদলে দেওয়া এই উপাখ্যানের নায়ক পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম পিপিএম।
সরেজমিনে পার্ক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে দুই শ মিটার পশ্চিমে ‘পুলিশ লাইন স্কুল’ ও ‘লৌহজং নদের মধ্যবর্তী খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে পার্ক। খালে উৎপত্তিস্থল ‘হাজরা ঘাট’-এ তৈরি করা হয়েছে পার্কের মূল ফটক। ফলে ‘হাজরা ঘাট’ এলাকার সরকারি জমি বেদখল করে গড়ে তোলা সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পূর্বেও যেখানে ছিল মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য। এখন সেই স্থানেই পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন ‘এসপি পার্ক।’ মজে যাওয়া খালটি খনন করা হয়েছে। খালের দু’ধারে লাগানো হয়েছে সারি সারি বাহারি ফুলের গাছ। মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে শিশুদের জন্য বসানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রাইড। পথচারী ও বিনোদন পিপাসুদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত বসার বেঞ্চ। পরিত্যক্ত ও বেদখল হয়ে যাওয়া স্থানটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলায় উচ্ছ্বসিত টাঙ্গাইলের বিনোদন প্রেমীরা।
পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষক মঞ্জুর রাহী বলেন, ‘আগে টাঙ্গাইলে বিনোদনের জন্য তেমন কোন স্থান ছিল না। এখন সময়-সুযোগ হলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে এসে কিছুটা সময় উপভোগ করতে পারি।’ মাদক সেবীদের আঁখড়া ও বেদখল হয়ে যাওয়া স্থানটিকে টাঙ্গাইলবাসীকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে উপহার দেওয়ার জন্য এসপি মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান সাংবাদিক আহমেদুল হক সিদ্দিকী।
পার্কের উদ্যোক্তা টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম পিপিএম বলেন, পুলিশ লাইনের পাশের যে স্থানটিকে পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। একসময় ওই স্থানে মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র ছিল।
স্থানীয় কিছু অসাদু ব্যক্তি সরকারি জায়গা বেদখল করে বিভিন্ন অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে রেখেছিল। স্থানটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে মনে হলো টাঙ্গাইলে তেমন কোন বিনোদন পার্ক নেই। তাই অনায়াসে এখানে একটি পার্ক তৈরি করা যায়। এই চিন্তা থেকে এবং বিভিন্ন জনের উৎসাহ, পরামর্শ ও সহযোগিতায় আজকের এই প্রয়াস।