নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: কোরবানীর ঈদ এগিয়ে এলেও তেমন কেনা-বেচা হচ্ছেনা পশুর হাটগুলোতে। গতকাল সোমবার টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নের যুগনী হাট ঘুরে দেখা মিলেছে এ চিত্রের। হাটে উঠেছিল প্রচুর গরু-ছাগল। ক্রেতা তেমন ছিলনা। যারাও কিনতে এসেছেন তারা আরো যাচাই করার ইচ্ছা নিয়ে পশু কিনছেন না। পাইকারী ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল অনেক। ঢাকাসহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কোরবানীর পশুর হাটে বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে তারা পশু কিনছেন।
জব্বার নামের এক পাইকারী ক্রেতা বলেন, আজকে কিছু গরু কিনতে পারলে ঢাকার হাটে উঠিয়ে কিছু টাকা লাভ করে বিক্রি করতে পারব। এখন না কিনলে ঢাকার হাটে গিয়ে গরু উঠানোর ভালো যায়গা পাব না। আর ভালো যায়গায় গরু না উঠাতে পারলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারব না। তাই আজকের মধ্যেই গরু কেনার চেষ্টা করছি।
সাপুয়া গ্রামের জিন্নত আলী দু’টি বড় ষাড় বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। গায়ের রং এবং স্বাস্থ্য মোটাতাজা হওয়ায় সেখানে ক্রেতাও ছিল প্রচুর। কালো রংয়ের ষাড় ১ লাখ ৫০ হাজার এবং লাল রংয়ের টি ১ লাখ ২০হাজার টাকা দাম হাকাচ্ছেন। ক্রেতারা দাম শুনে কালোটি ৯০-৯৫ হাজার টাকা এবং লালটি ৭০-৭৫ হাজার টাকা বলে চলে যাচ্ছেন।
জিন্নত আলী বলেন, প্রতিটি গরুর পিছনে ১ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। ক্রেতাদের কাছে থেকে দাম শুনে কিছু বলতেও পারছি না সইতেও পারছি না। ভুসির দাম অনেক বেশী হওয়ায় গরু পালন করতে আমাদের খরচ অনেক বেশী হয়। ঠিকমতো দাম না হলে ফেরত নিয়ে যাব।
রাজ্জাক নামের একজন গরু কিনে বাড়ী ফেরার পথে বলেন, বাজার একেবারে বেশিও না আবার কমও না। কোরবানী দেয়ার জন্য গরু কিনতে হবে তাই আগে ভাগেই কিনে ফেললাম। গরু কিনেছেন ৭২ হাজার ৫’শ টাকায়।
ক্রেতাদের অনেকের মাঝে হাসিলের টাকা বেশি নেয়ার অভিযোগ থাকলেও হাসিল আদায়কারী বলেন, ছাগলের জন্য শতকরা দশ টাকা হারে এবং গরুর জন্য পাইকারী ক্রেতাদের থেকে ৫’শ টাকা এবং খুচরা বিক্রেতাদের থেকে গরুর দাম অনুযায়ী ৭’শ, ৮’শ থেকে শুরু করে যার থেকে যেরকম নেয়া যায়।