এম সাইফুল ইসলাম শাফলু ,
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর শামছুল আলম দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও ঘাটাইল এস.ই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (কৃষি) মো. শামছুল আলম মাস্টার। তিনি নিজের পৈত্রিক ২৩ বিঘা জমির ওপর ৪২ প্রজাতীর দেশী-বিদেশী ‘শখের বাগান’ নামে একটি ফলের বাগান গড়ে তুলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা দিতে তাঁরই ‘শখের বাগান’ নিয়ে আসেন। বাগানের পরিচর্য়া করার জন্যই তিনি সিলেটের মোহাম্মদ মকন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বদলি হয়ে ঘাটাইলে চলে আসেন। শামসুল আলম স্যারকে শখের বাগান পরিচর্যায় সহযোগিতা করেন তার সহধর্মিনী রোকেয়া বেগম।
বুধবার সরেজমিন ঘাটাইলের রসুলপুর গ্রামের শামছুল আলমের বাগান ঘুরে দেখা যায়, পামওয়েল গাছ, সৌদি খেজুর, মালয়েশিয়ার জাতীয় ফল ডোরিয়ান, ফোর কেজি আম, ড্রাগনফল, রামভূটান, কমলা, বারীফোর মাল্ট্রা, লটকন, বাতাবী লেবু, আতা, আমড়া, জাম, বারোমাসী কাঁঠাল, চাইয়া-৩ লিচু, আপেল, ডালিম, তাল, বেল, আমলকী, চালতা, কাঠ লিচু গাব, পিচফল, জামান ফল, চেরী ফল, হেম ফল, কাই ফল, মিষ্টি গাব, পাম ফল, ছফেদা, অরবড়ই, আলোবোখাড়াসহ প্রায় ৪২ প্রজাতীর দেশী-বিদেশী ফলের গাছ রয়েছে তার বাগানে। তাছাড়াও বাড়ির আঙিনায়েও রয়েছে নানা প্রজাতীর ফলের গাছ। বেশ কিছু গাছে ইতোমধ্যে ফল আসতে শুরু করেছে বাকীগুলোতে দু এক মাসের মধ্যেই ফল আসবে ।
মো.শামছুল আলম মাস্টার জানান, আনারস ও বাঁশবাগান ভেঙে আমি অনেকটা শখের বশে ৪২ প্রজাতী দেশী-বিদেশী ফলের বাগান করেছি। সৌদি আরব থেকে খেজুর এনে কয়েক মাস পরিচর্যা করে চারা উৎপাদন করেছি। প্রায় ১১ বিঘা জমিতে আমি সাড়ে চার হাজার লটকন গাছ লাগিয়েছি। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি বাড়ির আঙিনা ও পুকুরপাড়ে ফলজগাছ লাগালে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে বাড়তি আয়ের উৎস তৈরি করা সম্ভব।