টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া ওরফে শেখ সোয়েবের (২৬) বিরুদ্ধে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সোয়েব জানান, ২০১৬ সালে দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া মাজার প্রাঙ্গণে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই মেলা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ওই মেলায় ৭দিন হোটেল ব্যবসা করার জন্য একটি দোকান নেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশেকপুরের স্বামী পরিত্যক্তা খাদিজা আক্তার সাবিনা। মেলায় দোকান করার সুবাদে সে সময় তার সাথে পরিচয় হয় সত্যি।
তবে সেটা ছিল মেলা কর্তৃপক্ষ আর ব্যবসায়ির সম্পর্ক। এই মেলায় হোটেল করার সময় ওই নারী স্থানীয় ব্যবসায়িদের কাছ থেকে বিভিন্ন পন্য সামগ্রী বাকিতে নেয়। তবে সেই পাওনা টাকা পরিশোধ না করে মেলায় মাত্র ৪দিন দোকান করে পালিয়ে আসেন।
মেলা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকার ফলে ওই ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িরা ওই নারীর কাছে পাওনা টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য বিচার নিয়ে আসেন। ব্যবসায়িদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য আমি ওই নারীকে চাপ দেই।
এ নিয়ে আমার সাথে ওই নারীর কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে। আমি যাতে ওই নারীকে পাওনা টাকার জন্য আর চাপ দিতে না পারি সে জন্য ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ওই স্বামী পরিত্যক্তা নারী আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া ওরফে শেখ সোয়েব ও তার এক সহযোগী শিপন স্বামী পরিত্যক্তা নারীর আশেকপুর গোডাউন ব্রীজ সংলগ্ন বাসায় জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এসময় ওই নারী ডাক-চিৎকার শুরু করলে তার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে সোয়েব ধর্ষণ করে। আর এই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র শিপন তার মোবাইলে ধারন করে।
পরে তারা চলে যাওয়ার সময় ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে কিছু না বলার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ শর্ত না মানলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় বলেও গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন স্বামী পরিত্যক্তা নারী খাদিজা আক্তার সাবিনা।