টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুটি বাড়ি থেকে মোট ৭৩টি গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে সল্লা ইউনিয়নের দেউপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বাড়ি থেকে ৪৬টি এবং এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা গ্রামের শাজাহান সিকদারের বাড়ি থেকে ২৭টি সাপ ধরা হয়। উদ্ধারকৃত সাপের মধ্যে বড় সাপ একটি আর বাকিগুলো সাপের বাচ্চা।দেউপুর গ্রামের ওই বাড়ির মালিক মোখলেসুর রহমান জানান, দসোমবার ভোরে আমার স্ত্রী রান্না করতে রান্নাঘরে গেলে তার পায়ে কিছু একটা এসে ধাক্কা দেয়। তখন তিনি লাইট জালিয়ে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখে চিৎকার দেন। সাথে সাথেই সেখানে গিয়ে বাচ্চাটি মেরে ফেলি। রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে এসে আরো চারটি সাপের বাচ্চা দেখি।
এভাবে ২৪টি সাপের বাচ্চা দেখি এবং সেগুলো লাঠি দিয়ে মেরে মাটিতে পুতে রাখি। পরে খবর পেয়ে এক সাপুড়ে এসে মাটি খুড়ে থাকার ঘর থেকে আটটি এবং রান্নাঘর থেকে আরো ১৪ সাপের বাচ্চা ধরেন। সাপুড়ে এই ২২টি সাপের বাচ্চা জীবিত নিয়ে গেছেন। বাচ্চাগুলোর দৈর্ঘ্য এক হাত।’ তবে বড় সাপটি এখনো ধরা না পড়ায় সবাই খুব আতঙ্কে আছেন বলে বাড়ির মালিক জানান।
অপরদিকে মসিন্দা গ্রামের শাজাহান সিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হোমিও ডাক্তার দুলাল হোসেন জানান, ‘গত ২ জুলাই শাজাহান সিকদার থাকার ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরাতন সুকেসের ড্রয়ারে একটি বড় গোখরা সাপ দেখতে পান। তখন সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। সাপটির দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত।
পরে গত রোববার সকালে ঘরের টিনের বেড়ার নিচে ইঁদুরের গর্ত থেকে দুটি গোখরা সাপের বাচ্চা বের হলে তা মেরে ফেলা হয়। তখন ঘরে আরো সাপ থাকতে পারে ভেবে উপজেলার কস্তুরীপাড়া এলাকার বায়েজীদ হোসেন নামে এক সাপুড়েকে খবর দেয়া হয়।
ওইদিন বিকেলে সাপুড়ে এসে অন্যদের সহযোগিতায় ওই ঘরের মেঝে ভেঙে ইঁদুরের গর্ত থেকে ২১টি বাচ্চা উদ্ধার করেন। একইভাবে সোমবার বিকেলে আরো তিনটি সাপের বাচ্চা ধরা হয়। বাচ্চাগুলো লম্বায় এক থেকে দেড় ফিট।’ জীবিত ২৪টি বাচ্চাই সাপুড়ে বায়েজীদ নিয়ে যান।