নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক : টাঙ্গাইলের গোপালপুর কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে চলতি আলীম পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত বিষয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অসদুপায় অবলম্বন এবং দুঃস্কর্মে সহযোগিতার অভিযোগে ২ কক্ষ পরিদর্শক, ১ হাউজ টিউটরসহ ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ বিশ্বাস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে এদের হাতেনাতে আটক করেন। কক্ষ পর্যবেক্ষক আব্দুল মানান ও সাইফুদ্দীনকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, হাউজ টিউটর সোহেল রানা এবং সহযোগি গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার ফাজিল শ্রেণিতে পড়ুয়া আবুবকরকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আর পরীক্ষার্থী মোখলেছুর রহমান, বদরুল আলম, আব্দুল জলিল ও শামীম হাসানের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় এবং ভ্রাম্যমান আদালতের এক্তিয়ার না থাকায় তাদেরকে মুচলিকা দিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তাদের প্রত্যেককে পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, ওই চার পরীক্ষার্থী তাদের হাউস টিউটর সোহেল রানার সহযোগিতায় ফেসবুকে একটি গ্রুপ চ্যাটরুম তৈরি করেন। পরীক্ষা হল থেকে এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে পরীক্ষার্থীরা গ্রুপ চ্যাটরুমের এডমিন সোহেল রানার নিকট বাইরে প্রশ্নপত্রের কপি পাঠায়। পরে ওই হাউজ টিউটর প্রশ্নের সমাধান করে মেসেঞ্জারে উত্তর পাঠিয়ে দেয়। আর চার পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন থেকে তা টুকে নিয়ে উত্তর পত্রে লিখেছিলো। পরীক্ষা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই পরির্দশক এ অসাধুপায় অবলম্বনে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট তাদের দোষ স্বীকার করেন। পরে সকলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।