নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: প্রচন্ড তাপদাহে শহরের যানযট নিরসনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের দিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে সফলও হয়েছেন তারা।
প্রচন্ড গরমে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে দশবার চিন্তা করে, সেখানে টাঙ্গাইলের ট্রাফিক সদস্যরা প্রকৃতির নিষ্ঠুরতাকে উপেক্ষা করে শহরের যানজট ঠেকাতে ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে রাস্তার যানজট নিরসেন ব্যস্ত সময় পাড় করছে টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত প্রতিটি সদস্যরা।
শহরের যানজট পূর্ণ এলাকা হিসেবে বেবিস্ট্যান্ড, নিরালার মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কুমুদিনী কলেজ মোড়, জেলা সদর গেট, নতুন বাসস্ট্যান্ড, বটতলা মানুষের চোখে ভেসে উঠে।
টাঙ্গাইলের আমঘাট রোড এলাকার ওয়াহেদ আলী নামে এক পথচারী প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন, আজ শহরে কিছু হয়েছে কি? এমন প্রশ্নের কারণ জানতে চাইলে প্রতিবেদকে ঐ পথচারী বলেন, রাস্তা ফাঁকা দেখে জিজ্ঞেস করলাম।
নিড়ালা মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ আ. হাই বলেন, ভাই সারাদিন ডিউটি করে ঘামে পোশাক ভিজে যায়। রাতে বাসায় গেলে শরীরে মাঝে মধ্যে জ¦র ওঠে আসে।
আশেকপুর এলাকায় দায়িত্বরত সার্জেন মাসুদ বলেন, আমরা প্রচার চাইনা, পথচারীদের যাত্রা নিরাপদ ও যানযট মুক্ত করতে পেরেছি, এটাই আত্মতৃপ্তি। এরকম পরিবেশ কি শুধু ঈদ পর্যন্ত না ধারাবাহিক ভাবে চলবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আমার মেধা ও শ্রম দু’টোই কাজে লাগিয়েছি। আশা করছি সারা বছরই এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিকের (প্রধান) টিআই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এবং আমার সহকর্মীরা এসপি স্যারের নির্দেশে প্রচন্ড তাপদাহ সহ্য করেও নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কতটা সফল তা বিচার করবে টাঙ্গাইলের জনগণ।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।