নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার (৫ জুন) নতুন করে আরও ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ২১৯ জনের দেহে করোনার ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নাগরপুরে ১০, মির্জাপুরে ৮, ভূঞাপুরে ৭, সখীপুরে ৬, টাঙ্গাইল সদরে ৫, দেলদুয়ারে ৪, গোপালপুরে ৪, মধুপুরে ৪, ধনবাড়ীতে ৪, ঘাটাইলে ৩, কালিহাতিতে ২, বাসাইলে ১ জনসহ মোট ৫৮ জন সুস্থ হয়েছে। আর ঘাটাইলে ২, মির্জাপুরে ১, ধনবাড়ীতে ১ ও টাঙ্গাইল সদরে ১ জনসহ মোট ৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার (৫ জুন) নতুন করে আক্রান্তরা হলো- টাঙ্গাইল সদরের রথখোলায় ১, কোদালিয়ায় ১, আলোকদিয়ায় ১, আকুর টাকুর পাড়ায় ১, ডিস্ট্রিক্ট অফিসার্স কোয়ার্টারে ১ এবং পুলিশ লাইন এর পাশে হাজরাঘাট এলাকায় ১ জন (যিনি গাজীপুর থেকে স্যাম্পল পরীক্ষা করে এসেছেন)। ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া ১, গোবিন্দাসী ১ জন। কালিহাতির ঘড়িয়ায় ১, আকুয়ায় ১, কালিহাতী পৌরসভার মুন্সীপাড়ায় ১, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ ও গোহালিয়াবাড়ীতে ২ জন ।
মির্জাপুরের লতিফপুর ইউনিয়নের সেহরাতৈলে ১, মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটিতে ১, গোড়াই ইউনিয়নের রাজাবাড়ীতে ১ ও পূর্ব সোহাগপাড়ায় ২ জন। নাগরপুরের সহবতপুর ইউনিয়নের দ্বারাকুমুল্লিতে ১, বেকড়া ইউনিয়নের মুশুরিয়ায় ১, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ ও আন্দিবাড়ীর ১ জন। সখীপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের লাঙ্গগুলিয়ায় ১ ও কালিয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুরের ১ জন। দেলদুয়ারের মীরকুমুল্লীর ১ জন ও গোপালপুরের সূতী, পলাশে ১ জন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫৭১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুন) নতুন করে কোনো নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়নি। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৮ জনের করোনা রেজাল্ট পজেটিভ এসেছে। হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে ৫৬ জনকে। ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৭০ জনকে। এখন পর্যন্ত ৫১০৭ জনের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে ২১৯ জনের ফলাফল প্রজেটিভ এসেছে। বাকিগুলোর ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
৬১২টি নমুনার রেজাল্ট এখনো পাওয়া যায়নি। বর্তমানে জেলায় মোট ২১৯ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৫০ বেডের করোনা ডেডিকেডেট ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪ জন। আক্রান্ত বাকি ১৫০ জন ঢাকা, ময়মনসিংহ হাসপাতালে ও নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় এ পর্যন্ত ২১৯ জন করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মির্জাপুরে ৩৯, নাগরপুরে ২৮, দেলদুয়ারে ২৪, টাঙ্গাইল সদরে ২৪, কালিহাতীতে ২১, মধুপুরে ১৭, ঘাটাইলে ১৫, ধনবাড়ীতে ১৪, গোপালপুরে ১২, ভূঞাপুরে ১২, সখীপুরে ১০, ও বাসাইলে ৩ জন রয়েছে।
এদের মধ্যে নাগরপুরে ১০, মির্জাপুরে ৮, ভূঞাপুরে ৭, সখীপুরে ৬, টাঙ্গাইল সদরে ৫, দেলদুয়ারে ৪, গোপালপুরে ৪, মধুপুরে ৪, ধনবাড়ীতে ৪, ঘাটাইলে ৩, কালিহাতিতে ২, বাসাইলে ১ জনসহ মোট ৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এছাড়া জেলায় করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ৫ জন মারা গিয়েছে। নিহতরা হলো- ঘাটাইলে মহিউদ্দিন, আব্দুল মান্নান খান, মির্জাপুরে রেনু বেগম, ধনবাড়ীতে আব্দুল করিম ভুইয়া, টাঙ্গাইল সদরের পৌর শহরের আদালত পাড়ার আলী কমপ্লেক্রোর মালিক আব্দুর রাজ্জাক।
জেলায় এখন পর্যন্ত ১১৫৬৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ও হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৯ হাজার ৭৫০ জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১ হাজার ৮১৪ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৫০ বেডের করোনা ডেডিকেডেট ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ২ জন।
উল্লেখ্য, গত (১ মার্চ) থেকে রবিবার (১৭ মে) পর্যন্ত বিদেশে থেকে জেলায় এসেছে ৫ হাজার ৭০৫ জন। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুত রয়েছে জেলার সরকারী হাসপাতালের ৫০টি বেড, উপজেলা পর্যায়ে আইসোলেশন বেড রয়েছে ৫৮টি। ডাক্তার রয়েছে ২৪২ জন, নার্স রয়েছে ৪১৯ জন। করোনা আক্রান্ত রোগী আনা নেয়া করার জন্য এ্যাম্বুুলেন্স রয়েছে ২টি।
মঙ্গলবার (২ জুন) পর্যন্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সমগ্রী পিপিই মজুদ রয়েছে ৫ হাজার ৫৯১টি এবং মাস্ক ৪ হাজার ৮টি। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) পর্যন্ত জেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ পরিবারের মধ্যে ২৩০৪ মে.টন চাল ও ৬০ হাজার ৭১৫টি পরিবারের মধ্যে নগদ ১ কোটি ২১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্য বাবদ ১৯ হাজার ৩৯০ পরিবারকে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬০ টাকা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।