টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মাদক ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনায় দুই গ্রামবাসী পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। নাটশালা শালেংকা গ্রামের মোবারক আলী বাদী হয়ে একটি ও কাশতলা গ্রামের আরশেদ আলী বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেন।
দুই মামলায় এজাহারভুক্ত ৫২ জন আসামিসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪ শতাধিককে আসামি করা হয়েছে। ফলে কয়েক গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অভিযান চালিয়ে এই দুই মামলার এজাহারভুক্ত চারজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে উপজেলা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন, দিগলকান্দি ইউনিয়নের নাটশালা গ্রামের মাদক সম্রাট নাজমুল হোসেন (২০), নাসির উদ্দিন (২৩) ও দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের ইমরান হাসান জনি (২৮) ও রহিজ উদ্দিন (৫০)।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নাটশালা গ্রামের কতিপয় যুবক মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। একইভাবে কাশতলা গ্রামেও গড়ে উঠেছে মাদকের আখড়া।
মাদক ব্যবসা নিয়ে মাঝে মাঝেই এই গ্রামগুলোতে মারামারির মতো ঘটনা ঘটতো। এ সকল ঘটনা একপর্যায়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
ঘাটাইল থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমির হোসেন বলেন, ভাঙচুর, লুটপাট ও চুরির ঘটনায় দুই গ্রামের দুইজন বাদী হয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইনএনও) আবুল কাশেল মুহাম্মদ শাহীন বলেন, এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে নাটশালা ও কাশতলা গ্রামের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ৩ মে বুধবার বিকেলে হামিদপুর মাদরাসায় এই নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে।
সালিশি বৈঠকে দিগল কান্দি ইউনিয়েনের এক ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্য দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।
একপর্যায়ে দিগল কান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে দরবার থেকে বেরিয়ে আসেন। এতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
উত্তেজিত জনতা বাজারে দোকানপাটে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। উভয় পক্ষের উত্তেজনা ঠেকাতে গেলে উত্তেজিত জনতার হাতে দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এরশাদ ও সুলতান।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।