বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
Homeটাঙ্গাইল জেলাটাঙ্গাইলে রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন তৃতীয় দফায় পেছালো

টাঙ্গাইলে রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন তৃতীয় দফায় পেছালো

এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের দিন তৃতীয় দফায় পেছালো। বুধবার (২২ নভেম্বর) এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও আসামী পক্ষের আইনজীবীর করা সময়ের আবেদনে এর আগামী দিন ধার্য করা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। বুধবার বেলা ১২টায় এ দিন ধার্য করেন আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি এ কে.এম মো. নাছিমুল আখতার জানান, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মধুপুর অঞ্চল থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করেন। এ মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। বুধবার চাঞ্চল্যকর রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও আসামী পক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে এর দিন পিছিয়ে আগামী ২৯ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের সহায়তা ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃত দেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামীরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর নিহত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ১৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। চাঞ্চল্যকর রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলে আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় এর দিন পিছিয়ে পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ২২ নভেম্বর এ মামলার আসামীদের চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।

 

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -