নিজস্ব প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে র্যাব পরিচয়ে ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত চার সাংবাদিকসহ এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী যুবকের নামে থানায় মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের চর হুগড়া গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, টাঙ্গাইল সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের প্রভাত পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি এস এম আতোয়ার রহমান, সহ-সভাপতি ও দৈনিক আমার সময় পত্রিকার প্রতিবেদক মো. আলমগীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক ও দৈনিক জনতার কথা পত্রিকার প্রতিবেদক জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ইনতেজার পত্রিকার প্রতিবেদক মো. সবুর মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে অসাংবাদিক কিছু লোক নিয়ে সিটি প্রেসক্লাব নামক একটি সংগঠন গড়ে তুলে সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও এ মামলায় অভিযোগ রয়েছে।
মামলাদাতা ওই গৃহবধুর অভিযোগ, তার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে এইক গ্রামের রেকাত মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (২২) উত্ত্যক্ত করাসহ প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি মেয়ে তাদের জানালে তারা ফারুকের বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। এরপরও গত (৩০ মে) দুপুরে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে ফারুক তাদের (ওই স্কুল ছাত্রী) বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারা প্রস্তাবটি নাকচ করে দেন। পরদিন ১ জুন কতিথ চার সাংবাদিক আতোয়ার, জহিরুল, আলমগীর ও সবুর ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে নিজেদের র্যাব ও সাংবাদিক পরিচয় দেন। তারা ফারুকের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দেন। বিয়ে না দিলে ওই ছাত্রীর ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়াসহ ছবি তোলেন আর ভিডিও করেন। এক পর্যায়ে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা তাদের দশ হাজার টাকা চাঁদা দেন। এ স্বত্তেও তারা বাকি ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে চলে আসে।
পরে ওই মেয়ের বাবা-মা টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার এবং টাঙ্গাইলে দায়িত্বরত র্যাবের কোম্পানী কমান্ডারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে উত্ত্যক্তকারি ফারুক ও চাঁদা দাবি করায় অপর চার সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসনে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর আবু তালাত নাঈম জানান, তারা র্যাব পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। র্যাব পরিচয় দেয়ার সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।