নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুইটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ। এতে কলেজ ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। যে কোন সময় হতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
জানা যায়, ২০১৭ সালের (৩১ ডিসেম্বর) মিলন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের একপক্ষ। এতে স্বাক্ষর করেন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীরুল ইসলাম হিমেল ও শফিউল আলম মুকুল। কমিটি প্রকাশ করার পরপরই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরে এই কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে মিছিল করে ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপ। এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঙ্গলবার সা’দত শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রতন মিয়াকে আহ্বায়ক করে ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ আরেক পক্ষ। এতে স্বাক্ষর করেন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি আহম্মেদ এবং রাশেদুল হাসান জনি। সা’দত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এই পাল্টা-পাল্টি কমিটি নিয়ে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ককে ছাড়া যুগ্ম আহ্বায়কগণ কোন কমিটি অনুমোদন দিতে পারেন না। তাই রতন মিয়াকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছে সেটা অবৈধ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি টাঙ্গাইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সোহান খান বলেন, জেলা ছাত্রলীগ তাদের কোন সাংগঠনিক ইউনিটে যদি কমিটি দিতে চায় তা হলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে অবগত করতে হয়।
মিলন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি জানি না। এই কমিটির বিপরীতে জেলা ছাত্রলীগের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক আরেকটি কমিটি দিয়েছে। আমি চাই টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সমন্বয়ের প্রেক্ষিতে সা’দত বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিতর্কহীন কমিটি গঠন করা হোক।