শেখ ফরমান এলিন: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের মিটিংয়ের কথা বলায় সভাপতি সাবেক সেনা সদস্য আবু সুফিয়ান মাসুদকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রধান শিক্ষক এইচএম ইকবাল ও অন্যান্য শিক্ষকরা। এ ঘটনায় সভাপতি আবু সুফিয়ান মাসুদ ভূঞাপুর থনায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরজমিনে জানা যায়, উপজেলার নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর, গ্রন্থাগারিক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্য গত ১৭ই আগষ্ট সকল সদস্যের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর, গ্রন্থাগারিক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৪ শে আগষ্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তির সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পর গ্রন্থাগারিক পদে মাত্র একজন প্রার্থী আবেদন করেন। এ নিয়ে কথা বলার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আবু সুফিয়ান মাসুদ ও অন্যান্য সদস্যরা বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে গ্রন্থাগারিক পদে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান ও অন্যান্য দু’টি পদে নিয়োগ কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে একটি মিটিংয়ের তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এইচএম ইকবাল মিটিংয়ের তারিখ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হবে , নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ বলে জানান। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতিকে মারপিট শুরু করেন। প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগ দেন অন্যান্য শিক্ষকরাও। এ নিয়ে বিদ্যালয়ে তুমুল হট্রগোল শুরু হয়। পরে সভাপতি মাসুদ বিদ্যালয় থেকে বের এসে ভূঞাপুর থানায় গিয়ে প্রধান শিক্ষক এইচএম ইকবাল, সহকারি প্রধান শিক্ষক সাহিদা আক্তার, সহকারি শিক্ষক রফিকুল মোল্লা, মনির হোসেন, অফিস সহকারি জাহিদ ফকিরের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আব্দুল হামিদ, ডলি মেম্বারসহ অন্যান্য সদস্যরা জানান, বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর, গ্রন্থাগারিক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্য গত ১৭ই আগষ্ট সকল সদস্যের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর, গ্রন্থাগারিক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক টাকার বিনিময়ে তার কাছের লোক নিয়োগ দিতে পারবেনা বলে টালবাহানা শুরু করেছে। যার কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সাথে যে সকল শিক্ষক জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচএম ইকবাল বলেন, সভাপতির সাথে এই একটু হাতাহাতি হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু সুফিয়ান মাসুদ বলেন, টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের লোক নিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি পুরোপুরি এর বিরুদ্ধে। সঠিকভাবে নিয়োগের জন্য নিয়োগ কমিটি গঠনের জন্য আমি মিটিং আহবান করতে বলায় প্রধান শিক্ষক ও তার বাহামভুক্ত শিক্ষকরা আমাকে পিটিয়েছে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.শহীনুর ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।