নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরে কলেজ ছাত্রী রুপা ধর্ষণের পর এবার লিজা নামের পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের গাছাবাড়ী গ্রামের উত্তর পাড়ায় নিজ বাড়ীর পশ্চিম পাশের বাঁশঝাড় থেকে কলাপাতায় মোড়ানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায় । লিজা একই গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে। সে গাছাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো । তারা ৪ ভাই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট ছিল।
নিহতের পারিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে বাড়ীর পাশের নদীতে গোছল করতে যায় লিজা। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও ফিরে না অাসায় তার পরিবারসহ এলাকার লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুজির পর রাত ৯ টার দিকে বাড়ির পশ্চিম পাশে বাঁশঝাড়ে কলাপাতায় মোড়ানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের শরীরের কাপড়-চোপড় ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার মাথা ও শরীরে খড়ের আবর্জনা ছিল। মরদেহ দেখে স্থানীয়রা ধারণা করছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে মধুপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, এ ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়। এ শাস্তি দেখে আর যেন কেউ এ রকম ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়।
নিহতের ভাই রনি জানান, লিজা রোজা ছিল। ইফতারও করতে পারলনা। বলতে বলতেই কেঁদে কেঁদে মূর্ছা যান। আর বলতে থাকেন বোনরে তুই আমার কাছে বলে গেলিনা। লিজার মা ফাহিমা বেগম জানান, আমার মেয়ে আমাকে বলে গোছল করতে গিয়ে আর অাসেনি। অনেক খোঁজাখুজির পর আমার মেয়ের লাশ পেলাম। আমার মেয়েকে যারা নির্যাতন করে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। বলতে বলতেই শোক কাতর হয়ে পড়েন তিনি ।
গাছাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিহতের সহপাঠি রীমা ও মীম জানায়, আমরা এক সাথেই স্কুলে যেতাম ও খেলতাম। এভাবে যেই নির্যাতন করে থাক তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। আমরা তাদের ফাঁসি চাই। স্থানীয় যুবক রিপন রানা জানান,ধর্ষনের সঠিক বিচার না হওয়ায় একের পর এক ধর্ষনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ধর্ষনের বিচার যদি মৃত্যুদণ্ড করা হয়। তাহলে এদেশে ধর্ষন করতে আর কেউ সাহস পাবেনা।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছে ধর্ষনের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।