ফরমান শেখ: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চলছে পুরোদমে বোরো ধান কাটার মৌসুম। ব্রি-ধান ২৮ ও ব্রি-ধান ২৯ জমি থেকে কাটার পরপরই সেই জমিতেই টানা ২য় বারের মত আউশ ধান লাগনো প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। ইতোমধ্যে আউশ ধানের বীজতলার চারাও জমিতে রোপণের প্রায় উপযোগী হয়ে এসেছে।
এদিকে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে উপজেলায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৪০০ বিঘায় আউশ ধানের চাষাবাদে প্রণোদনা স্বরুপ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ আউশ উৎপাদনে সবধরণের কৃষি পরামর্শ দিয়ে আসছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের আউশ ধান চাষি কৃষক মো: খোদা বক্স মিয়া বলেন, তার ৪০ শতাংশ জমি। বোরো ধান কেটে আবার আউশ ধানের চারা লাগানো প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কম খরচে অধিক ফলন ও পরিশ্রমও তেমন বেশী নয়। যার কারণে গতবারের মত এবারো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের সহযোগিতায় আউশ ধান চাষাবাদ করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফলদা, গোবিন্দাসী, রহুলী, ভারই, রাউৎবাড়ী, ধুবুলিয়া, গাবসারা, কুঠিবয়ড়াসহ প্রায় অর্ধশত গ্রামের কৃষকরা আউশ ধানের চাষাদ করছেন এ বছর। আউশ ধান সঠিকভাবে পরিচর্য়া ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৩৩ শতাংশ (১ বিঘা) জমিতে ১৫ মণ থেকে ২০ মণ ধান উৎপাদিত হয়। বোরো ধানের তুলনায় কীটনাশকও খুব ব্যবহত হয়।
ভারই গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, গতবার ৩০ শতাংশ জমিতে তার আউশ ধান ১৪ মণ হয়েছিল। একই জমিতে বোরো ব্রি-ধান ২৮ হয়েছি সাড়ে ১২ মণ। আউশ ধান চাষে খরচ কম হওয়ায় ও কৃষি অফিসের প্রণোদনা পেয়ে ও তাদের উৎসাহিত করণে আউশ ধান চাষাদ করেছি। আশা করছি এবারও ভালো ফলন পাব আউশ ধানের।
ফলদা গ্রামের আব্দুল করিম বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ, সার ও পরামর্শে ৪৫ শতাংশ জমিতে আউশ ধানের বীজতলা রোপণ করেছে। বীজতলা ধানের চারাগুলো বড় হয়েছে। কিছুদির পর তা জমিতে লাগানো হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: জিয়াউর রহমান ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এস.এম রাশেদুল হাসান বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্লকে আউশ ধানের বীজ, কীটনাশক প্রণোদনা বিনামূল্যে দেয়াসহ সব ধরণেন কৃষি উপকরণ দেয়া হচ্ছে। আউশ ধান চাষাবাদ বৃদ্ধির জন্যও কৃষকদের উৎসাহিত করণ পরামর্শ ও নিয়মিত কৃষকদের সাথে মনিটরিং করা হচ্ছে।