নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামি ধর্ষক আতিকুর রহমান ওরফে রহমান (৩৬)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) রাতে গাজীপুর জেলার কড্ডা বাজার থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে পাছ ইরতা গ্রামের ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) নাগরপুর এসআই মো. শাহাজাহান তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ধর্ষক রহমানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গাজীপুরে অভিযান চালান। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পাছ ইরতা গ্রামের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৪) বাইকে তুলে নিয়ে পাশর্^বর্তী সারাংপুর গ্রামের নির্জন মাঠে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রহমান। পরে ২২ এপ্রিল ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। এরপর থেকেই ধর্ষক রহমান গ্রেফতার এড়াতে আতœগোপন করে।
উল্লেখ্য, উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের পাছ ইরতা গ্রামের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) পাশের বাড়ীর এমদাদ মাষ্টারের ভবনের নির্মাণ শ্রমিক মাসুদকে সাথে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তায় দিয়ে হাটছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর একই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে তাদের দেখা হয়।
বেড়ানোর কথা বলে রহমান ওই স্কুল ছাত্রী ও মাসুদকে বাইক যোগে সারাংপুর নিয়ে যায়। এরপর মাসুদকে ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে রহমান ওই মেয়েটিকে জোর করে সারাংপুর চকে (মাঠ) নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকারী ওই ছয় যুবককেও এ মামলায় আসামি করা হয়।