মাত্র এক কিলোমিটার মহাসড়ক থাকায়
সখীপুর-টাঙ্গাইল যেতে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়
সিএনজি অটো ট্যাম্পু যাত্রীদের চরম ভোগান্তি
এম সাইফুল ইসলাম শাফলু : মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন উঠতে না দেওয়ায় সখীপুর-টাঙ্গাইল সড়কে চলাচলকারী প্রায় তিন হাজার সিএনজি, অটো, টেম্পু’র যাত্রীরা প্রতিদিনই বেকায়দায় পড়ছেন। সখীপুর থেকে টাঙ্গাইল সদর যেতে ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বাসাইল বাইপাসমোড় থেকে টাঙ্গাইল বাইপাসমোড় মাত্র এই ১ কিলোমিটার মহাসড়ক পাড়ি দিতে হয়। ওই এক কিলোমিটার মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন উঠতে না দেওয়ায় ১৫ কিলোমিটার ভাঙাচোরা বিকল্প সড়ক ঘুরে টাঙ্গাইল পৌঁছতে হয় তাদের। এতে করে ৩৫ মিনিটের রাস্তায় সময় লাগে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট। সংগঠনগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগে ওই এক কিলোমিটার মহসড়ক চলাচলের অনুমতি চাইলেও ইতি বাচক কোন সাড়া না পাওয়ায় মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে ওই সড়কে সিএনজি ও অটো ব্যতিত মান সম্মত পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদেরও ভোগান্তির শেষ নেই।
কয়েকজন সিএনজি ,অটো মালিক ও শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সখীপুর-নলুয়া হয়ে টাঙ্গাইলে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার সিএনজি,অটো ও ট্যাম্পু যাতায়াত করে থাকে। প্রতিটি সিএনজিই কোন না কোন এনজিও বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে। মাত্র এক কিলোমিটার মহাসড়কে উঠতে না দেওয়ায় তাদের এখন ৩৫ মিনিটের রাস্তা দেড় ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার বিকল্প ভাঙাচোরা রাস্তা পাড়ি দিয়ে টাঙ্গাইল সদরে যেতে হয়। তিনগুণ সময় ও গ্যাস অপচয়ের কারণে তাদের রোজগার নেই বললেই চলে। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে বাকী টাকায় সংসার চলেনা।
নলুয়া সিএনজি ও অটো টেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মোল্লা বলেন,সখীপুর থেকে টাঙ্গাইল যেতে এক কিলোমিটার মহাসড়ক পাড়ি দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ ওই এক কিলোমিটার সড়ক ছেড়ে দিলে সিএনজি,অটো টেম্পু যাত্রীরা ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে। সিএনজিগুলোও যথাসময়ে গ্যাস নিতে পারবে যাত্রীরাও অহেতুক ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে। ।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।