শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী প্রতিনিধি: ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রুপনগর থানায় কর্মরত এস আই উত্তম কুমার সরকারের গ্রামের বাড়ি কালিহাতী পৌরসভার পশ্চিম বেতডোবায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতের স্বজনদের শান্তনা দিতে ঢল নেমেছে শোকার্ত মানুষের।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,৩রা সেপ্টেম্বর ছিলো নিহত এস আই উত্তম কুমার সরকারের জন্মদিন। ছেলের সাথে ঢাকায় থাকতেন মা কামনা রানী সরকার। ঈদের ছুটিতে কালিহাতী পৌরসভার পশ্চিম বেতডোবা গ্রামের বাড়িতে বাড়াটিয়ারা বাড়ি যাওয়ায় খালি থাকবে বলে এখানে এসেছিলেন নিহতের মা। দুর্ঘটনার দিন বিকেলে ছেলের জন্য পায়েশ রান্না করে নিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তুু বিকেলের ফোনে থেমে যায় কামনা রানী সরকারের ছেলের কাছে যাওয়া। পায়েশ খাওয়ানো হলো না মা কামনা রানী সরকারের। শোকে মুহ্্যমান দেহে বিছানায় শুয়ে ছিলেন নিহতের মা। কান্নাজড়িত কন্ঠে কথা গুলো জানাচ্ছিলেন নিহতের বৌদি।
পাশের রুমে ৪৮ দিন বয়সী নিহতের মেয়ে উপমাকে কোলে বার বার মুর্চা যাচ্ছিলেন স্ত্রী তমা সরকার। আমি কাকে নিয়ে বাচঁবো,মেয়ের কি হবে ? গতকাল একসাথে (২ সেপ্টেম্বর) ওর জন্য কেক, গিফট কিনতে যাওয়ার কথা ছিলো, সবসময় ওর সব পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে দিতাম, এখন কাকে রান্না করে খাওয়াবো ? আগামী বছর জন্ম দিনে ভারতে স্ত্রী,কন্যাসহ ভারতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিলো বলে জানান তিনি। এসময় স্বামী হত্যার বিচারও চান,স্বামী হারানো নিহত এস আই উত্তম কুমার সরকারের স্ত্রী তমা সরকার। ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে শোক জানাতে আসা মানুষদেও মাঝেও, এটি দুর্ঘটনা নয় হত্যাকান্ড উল্লেখ করে তারাও দ্রুততম সময়ে এর বিচারের দাবী জানান।
সোমবার রাতে মরদেহ এসে পৌছালেই নিহত এস আই উত্তম কুমার সরকারের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।