স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ সাকিব, তামিম। একজন ওপেনিংয়ে নেমে মারকুটে ব্যাটিংয়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। আরেকজন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষ শিবিরে কাঁপন ধরান। ব্যাট হাতে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে দু’জনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তামিম ইকবাল ছুঁয়েছেন ক্রিকেটের তিন ফরমেট মিলিয়ে ১১ হাজার রান। ১০ হাজারি ক্লাবে সাকিব আল হাসান। কিছুদিন আগেও ব্যাটিংয়ে সাকিব ৫-এ নামতেন কিন্তু ইদানিং ব্যাটিং করছেন গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর পজিশনে। এতে করে তার বড় ইনিংস খেলার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনে জমজমাট একটি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র কিন্তু ইতোমধ্যেই তৈরী হয়ে গেছে। কেননা এখন যেহেতু তিনি এখন বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, ধারাবাহিক রানে থাকতে পারলে তামিমকে ছোঁয়া তার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তামিম ইকবালও চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। লাল-সবুজের ক্রিকেটে দুই মহারথির মধুর এই প্রতিযোগিতা থাকতে চাইছেন সবার ওপরেই। ‘ভালো হবে যদি প্রতিযোগিতা জমে। আমার কাছে মনে হয় যে দলের মধ্যে যদি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকে এটা সব সময়ই ভালো। আমি যদি কাউকে হারাতে চাই, ইনফ্যাক্ট সে যদি আমাকে হারাতে চায়। এটা সব সময় ভালো। সাকিব তিনে ব্যাট করায় অনেক বেশি ওভার ব্যাট করতে পারবে। এইজন্য আমাকেও মনে রাখতে হবে যে, আমাকে পারফর্ম করতে হবে উপরে থাকতে হলে। কেবল সাকিব না, মুশফিকও আছে। সেও অনেক রান করে ফেলেছে। ২০১৭ সালে দারুণ বছর গেছে তার।’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)১০ হাজার থেকে ১০৯১ রান দূরে মুশফিক (৮৯০৯)। তিন ফরমেট মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩০০টি। তামিমের নামের পাশে ২৮৪ ম্যাচে ১১০২২। ২৯৪ ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ১০০০১। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন তামিম। জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচেই বোনাস পয়েন্টসহ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টিম বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দ্বিতীয়বার জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এর দু’দিন পর শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। ফাইনাল ২৭ জানুয়ারি। ত্রিদেশীয় সিরিজটা তামিমের ভালোই যাচ্ছে। ব্যাট হাতে দুই ম্যাচেই তার সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। প্রথমটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয়টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একই সংগ্রহের পর আউট হন। স্পিন বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে আটকা পড়েন। তবে টানা দুই সেঞ্চুরির সুযোগ তৈরী করেও শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায় নিজেকে দুর্ভাগা ভাবছেন না তামিম, ‘আনলাকি না কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে সেকেন্ড ম্যাচে আমি যেভাবে খেলছিলাম একটা সময় ছিল যে আমি খুবই ধীরগতিতে শুরু করেছি। আমার কাছে যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে ওই ইনিংসের ব্যাপারে যে, আমি উইকেটটা দিয়ে আসিনি।’