শ্বেতি বা লিউকোজর্মা রোগটি রোগীদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সমস্যা এবং চিকিৎসকদের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। ত্বক সাদা হয়ে যাওয়াকে সাধারণ ভাষায় শ্বেতি বলে, প্রথমে সাদা বিন্দুর মতো দাগ পড়ে, তারপর ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। রঞ্জক পদার্থ মেলানিনের অভাবে ধবল বা শ্বেতি হয়।
কারণ : চিকিৎসা বিজ্ঞান কোনো একক কারণকে শ্বেতি রোগের জন্য দায়ী করতে পারেনি। বংশগত একটি কারণ রয়েছে। কুষ্ঠ রোগ হলেও চামড়ার রং সাদা হতে পারে। কুষ্ঠ সংক্রামক শ্বেতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
চিকিৎসা
* শতকরা ২০-২৫ ভাগ রোগী চিকিৎসা নিয়ে ভালো হওয়ার তথ্য আছে। যে রোগী লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে চিকিৎসা নেন, তারা এর সুফল পেতে পারেন। তবে ভালো করতে না পারলেও রোগের বিস্তার ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
* অতি বেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোক প্রতিদিন সকালে ২ ঘণ্টা করে নিতে হবে।
* রাতে রুমে বেগুনি রঙের বাতির কাছে যতটা সম্ভব থাকতে হবে।
* মেথোক্সস্যালেন জাতীয় ওষুধ সকালে ও বিকালে সেবন করা যায়। সঙ্গে মেলাডিলিন পেইন্ট সকালে ও বিকালে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।
* ভিটামিনের অভাবে মাল্টিভিটামিন ও মানসিক দুশ্চিন্তা থাকলে ওষুধ খেতে হবে। ট্যাবলেট জিঙ্গোবিলোজও খাওয়া যায়।
* ভিটামিন সি অতিমাত্রায় না খাওয়াই ভালো।
ডা. দিদারুল আহসান,
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আল রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭১৫৬১৬২০০
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।