২৬ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার নাল্লাপাড়া বাজারের একটি দোকানে পুঁড়ির বিক্রি করতে দেখা যায় সোনিয়াকে । কথা হয় সোনিয়ার সাথে । স্কুলে যেতে ইচ্ছা করে কিনা জানতে চাইলে শিশু সোনিয়া আক্তার জানায়, সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে । কিন্তু দোকানে কাজ করায় নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না । পড়ার আগ্রহ থাকলেও পড়ার টেবিলে বেশি সময় দিতে পারছে না সে। সোনিয়ার বাবা শামছুল হকের সাথে কথা হলে ভারাক্রান্ত মনে সে জানায়, তার পাঁচ মেয়ে । কোন ছেলে সন্তান নেই । সংসারে খুবই অভাব ।
প্রতিদিনের খাবারের খরচ নির্ভর করে প্রতিদিনের আয়ের ওপর । এদিকে সে একা মানুষ সব সময় দোকানে থাকতে পারে না । সে কারনে তার মেয়ে দিয়ে দোকানের হালকা কাজ করান । তবে তার মেয়ে সোনিয়া অনেক মেধাবী বলে জানায় সে । পড়া লেখা করে সে বড় হোক এটা তারও স্বপ্ন । কিন্তু বর্তমানে দারিদ্রতা তার স্বপ্নের অন্তারায় হয়ে দাঁড়িয়েছে । সরকারে কোন সহযোগিতা পেলে তার মেয়েকে সে নিয়মিত স্কুলে পাঠাবে বলে জানান । উল্লেখ্য, এই অভাবের কারনে তার বড় তিন মেয়ে বাল্যবিবাহ শিকার হয়েছে ।
বর্তমান সরকার শিশু অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষে গ্রহণ করলেও বাস্তবায়ন নেই এ উপজেলায় । সোনিয়ার মতো অনেক শিশুরাই পারিবারিক কাজের জন্য স্কুলে নিয়মিত হতে পাওে না ।শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ২৯ নং গোয়ারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কাজে সহয়তা করার কারনে অনেক শিশু শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদত হোসেন কবির বলেন, শিশু শ্রম বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে । শিশু শ্রম বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । তিনি আরো বলেন, ইতমধ্যে উপজেলা সদরের একটি চায়ের দোকানের এক শিশু শ্রমিককে ডেকে এনে স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ।