নিজস্ব প্রতিনিধি :টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটি ইউনিয়নের লালহাড়া গ্রামের ১০ম ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৭)র শ্লীলতাহানির চেষ্টায় বাধা দেয়ায় বাবা আজম খাঁন (৫০)কে পিটিয়েছে একই গ্রামের বখাটে ৫ যুবক। শুক্রবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত আজম খাঁন এখন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপা তালে ভর্তি রয়েছেন।
বখাটেদের হামলার শিকার আজম খাঁন জানান, কিছুদিন আগে আমার ছেলের একটি কম্পিউটার চুরি করে নিয়ে যায় ওই বখাটে যুবকরা। এ কারণে আমি দেলদুয়ার থানায় একটা জিডি (সাধারণ ডায়েরী) করে রাখি। এর প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার সকালে আমার মেয়ে ও নাল্লাপাড়া বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তারের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় আশরাফ নামের এক যুবক। এ সময় শারমিনের ডাক চিৎকারে আমি এগিয়ে গেলে ওই বখাটে যুবকদের দলনেতা আশরাফ দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমি শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িত আশরাফের বাবা-মায়ের কাছে এর বিচার দাবি করি। এ কারণে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাজার থেকে ফেরার পথে রাস্তার মধ্যে ওই ৫ যুবক রড, সিএনজির চেইন ও স্প্রিং নিয়ে আমাকে ঘেরাও করে এলোপাথারি মারধর করে। এ মারধরের ঘটনায় ছিলেন উপজেলার ফাজিলহাটি ইউনিয়নের লালহাড়া গ্রামের আজমত আলীর ছেলে আশরাফ (২৭),তার ভাই আবু বকর (২০),হযরত আলীর ছেলে আল-আমীন (২২),ময়নাল মিয়ার ছেলে রাব্বি (১৭), সাহেব আলীর ছেলে রবিন (১৭)।
অভিযুক্ত আশরাফের ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৬২১-০২৩১০৫ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা ছাত্রীর ভাই রাকিবুল খাঁন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে দেলদুয়ার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও বাবা আজম খানকে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগে পেয়েছেন। শনিবার সকালে ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাই করতে থানার ওসি তদন্ত ঘটনাস্থলে গেছেন। সত্যতা প্রমান হলে মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।