জানা গেছে, মঙ্গলহোড় গ্রামের মো.বারকু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম মিয়ার বাড়িতে যমুনা নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে ৭/৮ মাস পূর্বে আশ্রয় নেয় শিশুটির পরিবার। তার বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। শিশুটিকেও আঞ্চলিক একটি দাখিল মাদরাসায় ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেয়।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর রাতে বাড়ির মালিক আব্দুল হাকিম শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে গামছা ও ওড়না দিয়ে হাত মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় সে। কিন্তু কিছুদিন আগে শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। পরে এ বছরের ১০ এপ্রিল পাথরাইল বাজারের একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা করালে জানা যায় সে ১৯ সপ্তাহ ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা।
ধর্ষক হাকিম ও তার ভাই হাসেম শিশুটিকে বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করানোরও চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে তারা সামাজিক মীমাংসার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে ধর্ষক আব্দুল হাকিমকে আসামি করে দেলদুয়ার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, দেরিতে হলেও অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।