এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
‘পরিত্যক্ত ভবনে শতবর্ষী বৃদ্ধার মায়াবী কান্না’ শিরোনামে গত ২০ সেপ্টেম্বর দেশের অন্যতম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম নিউজ টাঙ্গাইলে এ সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে। পরে অনেকেই শতবর্ষী বৃদ্ধা আছিয়াকে দেখতেও আসেন। প্রতিবেদনটি নজরে আসলে শতবর্ষী ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছেন পাকুন্দিয়া কিশোরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বাবুল। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ওই পরিত্যক্ত ভবনে এসে শতবর্ষী বৃদ্ধা আছিয়ার সার্বিক খোঁজ খবর ও দায়িত্ব নেন তিনি। এ সময় তিনি আছিয়ার হাতে নগদ ৩ হাজার টাকা, শুকনো খাবার, নতুন কাপড় ও ওষুধ তুলে দেন। পরে তিনি বলেন, নিউজ টাঙ্গাইল অনলাইনে সংবাদটি দেখে আমি শতবর্ষী বৃদ্ধা আছিয়ার খোঁজ নিতে এসেছি। আমি যত দিন বেঁচে থাকবো, ততদিন প্রতিমাসে বৃদ্ধাকে ২হাজার ৫শ টাকা করে দিয়ে যাব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, বড়চওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা এস এম আতিকুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, শতবর্ষী বৃদ্ধা নারীর আছিয়া বেগম উপজেলার বড়চওনা বিন্নাখাইরা গ্রামের ছফর আলীর মেয়ে। বিয়ে হয় কালিহাতী উপজেলার বর্গা গ্রামের নজু কারীর সাথে। সেখানে জন্ম নেওয়া চারটি সন্তানই গর্ভে থেকেই মৃত্যুবরণ করেন। এ শোকে স্বামী ১৯৯২ সালে মারা যাওয়ার পর সহায় সম্ভল ও পরিজন বলতে কেউ নেই তার। আছিয়া গত ৬ মাস ধরে কালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা নাজমা সুলতানার সহায়তায় ভূমি অফিসের একটি পরিত্যক্ত ভবনেই থাকছেন।