নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন- সর্বোচ্চ পরিষদ হচ্ছে জাতীয় সংসদ, সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। আর উপজেলা পরিষদ হলো পাঁচ নম্বর স্তর, এই নির্বাচনের জামানত করেছে ১ লাখ টাকা। ছেলেকে বড় বানাইছে আর বাবাকে ছোট বানাইছে। নির্বাচন কমিশন যা খুশি তাই করতেছে। নির্বাচন কমিশন পাগল হইছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের ঘাটেশ্বরী এলাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সানোয়ার হোসেন সজীব (গামছা) প্রতীকের নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটে দাঁড়াইছে এটা ঠিক। কিন্তু আওয়ামী লীগ ভোটে দাঁড়ায় নাই। তাই এই নির্বাচনে চুরি করার আর রাস্তা নাই। কারণ শেখ হাসিনা ভোট চুরি চান না।
বেনজীর প্রসঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজকাল বেনজীর বলে এক লোকের নাম শোনা যাচ্ছে, দুনিয়ায় তার হায়রে হায় পাওয়ার! এখন সে শুয়ে পড়েছে। আমার জীবনে আমি দেখলাম, যে মানুষ অন্যায় করেছে, দুই দিন আগে হোক আর পরে হোক, তাকে অপমানিত হতেই হয়েছে। এত টাকা-পয়সা, সবকিছু এখন জব্দ।
তিনি বলেন, কালিহাতীতে বড় ভাইকে এমপি বানাইছি, ছোট ভাইকে চেয়ারম্যান বানাইছি। আমি না হয় পাস করবার পারি নাই। তার পরও আমি ওদের চেয়ে অনেক ভালো আছি। এই রকম ভাঙা পার্লামেন্টে যাওয়ার চেয়ে বাইরে থেকে আমি ওদের মুগুর দিয়ে মাঝেমধ্যে সোজা করব।
আফাজ উদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে পথসভায় কালিহাতী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা আসলাম সিকদার নোভেল, যুব আন্দোলনের নেতা জাহিদ হাসান প্রমুখ।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।