নিউজ ডেস্কঃ আবারো বিদেশে প্রশংসিত হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রশংসিত হলো তার নেতৃত্ব। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ২৫ তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে প্রথম নির্বাহী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি বলেন ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণ ও দক্ষ নে তৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। কমনওয়েলথ নেতৃবৃন্দকে তাকে সমর্থন দিতে হবে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিবের রিপোর্ট উপস্থাপনের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে আলোচনার জন্য ফ্লোর উন্মুক্ত করে দেন। এসময় তিনি ফ্লোর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
গত অগাস্ট মাসের শেষের থেকে রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানে যখন নির্বিচারে নির্মূল হতে থাকে রোহিঙ্গারা, তখন প্রতিবেশী দেশগুলো চুপ করে থাকলেও অসীম সাহসিকতায় সাহায্যের হাত বাড়ান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুলে দেন সীমান্ত। তাতে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রেহাই পায় অন্তত ৭ লাখ রোহিঙ্গা। প্রাণ ভয়ে তারা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। এ সময় বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত করেন তাদের খাদ্য ও বাসস্থান। এই অসীম সাহসিকতা ও মানবিকতার জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা পৃথিবী আজ তাঁর এই সিদ্ধান্তের সাধুবাদ জানাচ্ছে।