তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: ব্যবহারকারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম এক ধরনের বিশেষ প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট আবেদন (উদ্ভাবনের সুরক্ষায় একচেটিয়া অধিকার) করেছে ফেসবুক। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত- তিন শ্রেণিতে আলাদা করতে চাইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। কিন্তু এই বিভাজন ফেসবুকে ‘শ্রেণিবৈষম্য’ তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। পেটেন্ট আবেদনের বিষয়ে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্ধারণ করতে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন- শিক্ষাগত যোগ্যতা, বাসা-বাড়ির মালিকানা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করবে। এতে ব্যবহারকারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা বুঝে তার নিউজফিডে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করবে ফেসবুক।
এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে থার্ড পার্টির বিজ্ঞাপন সহজেই টার্গেট ইউজারদের কাছে পৌঁছানো যাবে। এটি একইসঙ্গে ব্যবহারকারীদেরও অনেক ভালো অভিজ্ঞতা এনে দেবে। সিস্টেমটি চালুর জন্য ব্যবহারকারীর বয়স ও বাসস্থান সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানাতে হবে ফেসবুককে। যেমন, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের জিজ্ঞেস করা হবে তারা কতগুলো ইন্টারনেট ডিভাইসের মালিক। আর ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের জিজ্ঞেস করা হবে, তাদের নিজেদের বাড়ি আছে কি-না। তাছাড়া ব্যবহারকারীর ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য, ডিভাইসের ব্র্যান্ড ও লেখাপড়ার দিক থেকে অর্জন সম্পর্কিত তথ্যও জানাতে হতে পারে। অবশ্য ব্যবহারকারীর বাৎসরিক আয় সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন করা হবে না। ব্যবহারকারীকে যেন অস্বস্তিতে পড়তে না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই এ সিদ্ধান্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এই প্রযুক্তিতে আসলেই ব্যবহারকারীকে টার্গেট করা যাবে কি-না, এ বিষয়ে কিছুই খোলাসা নয়। বরং এই প্রযুক্তিতে সংগৃহীত তথ্য পাবলিক করা হলে ফেসবুকেও ‘শ্রেণিবিভাজন’ তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।