নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: প্রিয় দেশবাসী, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, আজকে আমার কারণে আমার পরিবার ধ্বংস। যার কারণে ধ্বংস আজকে তারে আমি এ মুহূর্তে ধ্বংস করে দিলাম। আমি চেষ্টা করছি, অনেক চেষ্টা করছি, পারি নাই। আল্লাহর ওয়াস্তে সবাই আমাকে মাফ করে দেবেন।
আমার এতিম মেয়েটার খেয়াল রাখবেন। আমার ভাইবোনগুলোর খেয়াল রাখিয়েন। আমার পরিবার ভাইবোনগুলার কোনো দোষ নাই। কেউ এটাতে সম্পৃক্ত না। আমি আমার আজকের এ ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। প্লিজ সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার ভিডিওটা ভাইরাল করেন। যেন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। আর এ ঘটনার জন্য আমিই একমাত্র দায়ী। কেউ না।’
এরপর দা হাতে নিয়ে ছুটে গেলেন তিনি! এক কোপ, দুই কোপ, তিন কোপ এভাবে ৯টি কোপ। ভিকটিমের আহ আহ বলে কয়েকটি আওয়াজ। এরপর ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটতে লাগল। সে আওয়াজ দূর হতে শোনা গেল। তারপর সব শেষ! একটি প্রাণ লুটিয়ে পড়ল মাটিতে নিথর দেহে। ‘আমার পরিবারকে সবসময় ব্লাকমেইল করে। আজ থেকে আর কেউ ব্লাকমেইল করবে না। খোদা হাফেজ সবাই ভালো থাকবেন’ বলে ফেনীতে এভাবে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে টুটল ভুইয়া নামে এক যুবক।
এ ঘটনায় টুটুলকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ফেনী শহরের বারাহীপুর পূর্ব বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী টুটুলকে আটক ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এদিকে পাষণ্ড স্বামী টুটুলের ফেসবুক লাইভের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নৃশংস এ হত্যায় প্রতিবেশীদের অনেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান। তারা খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নিহত নারী এক সন্তানের জননী ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতি ইউনিয়নের আকদিঢা গ্রামের সাহাবুদ্দিনের মেয়ে।