রবিবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
Homeজাতীয়বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতাকেই হত্যা করা হয়েছে: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতাকেই হত্যা করা হয়েছে: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেছেন- ‘আল্লাহ-রাসূল ছাড়া কাউকে ভয় পাই না, এ দুনিয়ায় আমি কাউকে ভয়ও করি না। মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই আছে, দু’চারজন যে ভয় পায় না, তা না। ভয় পাওয়ার মতো সাহসিকতায়ও আছে। কিন্তু এ দেশে যারা যুদ্ধে জড়িয়েছেন তারা শ্রেষ্ঠ সন্তান। আজকে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রেষ্ঠ মর্যাদা আছে কি?।’

শনিবার (০২ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত প্রকাশনা উৎসব উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ও কাদেরিয়া বাহিনীর ২৭ নং হিরো কোম্পানির সহকারী কোম্পানী কমান্ডার মির্জা মো. এছহাকের সম্পাদনায় ‘কাদেরিয়া বাহিনীর ২৭নং হিরো কোম্পানি ৭১’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ও গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনসহ আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন- ‘শ্রেষ্ঠ সন্তান না কারণ হলো তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারে নাই। ১৯৭৫ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের নেতা যিনি-তাকে (বঙ্গবন্ধুকে) হত্যা করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকেই তো হত্যা করা হয়, তাকে হত্যার মধ্যে দিয়েই স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়েছে, তাকে হত্যা করা মানে স্বাধীনতার ঐতিহ্য ও সম্মানকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আমি জীবনে কোনো প্রেম করেনি, বঙ্গবন্ধুর সাথেই প্রেম করেছিলাম।’

ভূঞাপুর সম্পর্কে তিনি বলেন- ‘সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুরের চেয়ে কদ্দুস নগরখ্যাত ভূঞাপুর মুক্তিযুদ্ধের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে সখীপুর উপজেলা প্রথম। ভূঞাপুর যার জন্য হয়েছে তিনি হলেন- প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁন। তিনি পাকিস্তানকে সমর্থক করে নাই। আমাদের যাদের কালো অক্ষর পেটের মধ্যে গেছে সেটা এই ইবরাহীম খার জন্য হয়েছে। ইব্রাহীম খাঁর জন্যই আমি কাদের সিদ্দিকী, সামছুল হক, আবদুল মান্নান, বদি ভাই হয়েছে।’

বঙ্গবীর আরও বলেন- ‘গোবিন্দাসীর মীর মোয়াজ্জেম হোসেন দুদু মিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার যোগান না দিলে তারা যুদ্ধ করতে পারতো না। ভূঞাপুরে মাটিকাটা ১১ আগষ্ট পাকিস্তানীদের অস্ত্রবোঝাই জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছিল। আর ১০ আগস্ট জাহাজ নোঙর করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা কারোর বাবার মুরাদ নেই বন্ধ করার জানিয়ে বলেন, কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি। তবে ১৮ হাজার নয়।’

প্রকাশনা উৎসবে কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হাকীম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট জাহিদ শামস্রে সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্মসচিব শফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক মির্জা মহীউদ্দিন, শিশু সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী তালুকদার, প্রকাশনা উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, প্রকাশিত গ্রন্থের সম্পাদনা মির্জা মো. এছ্হাক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত প্রকাশ, ‘কাদেরিয়া বাহিনীর ২৭নং হিরো কোম্পানি ৭১’ গ্রন্থের সম্পাদনা করেন মির্জা মো. এছ্হাক। তিনি কাদেরিয়া বাহিনীর ২৭ নং হিরো কোম্পানির সহকারী কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৫৪ সালের ১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চুকাইনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন মির্জা মো. এছ্হাক। ১৯৭১ সালের মার্চ হতে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সহকারী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -