জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় সর্ব কনিষ্ট এমপি বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের মুজিব কোটই তার একমাত্র পোশাক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এ সহচরের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে। ১৯৪৪ সালের ১২ অক্টোবর ওই গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। বাবা প্রয়াত আব্দুল হালিম খান ও মা প্রয়াত ইয়াকুতুন্নেছা খানমের আট সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নতুন প্রজন্মের কাছে রয়েছে অজানা। আমাদের দেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ত্যাগী ও দলীয় আদর্শে লালিত রাজনীতি বিদের জীবন সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মের জানা উচিত।
রাজনীতির পাশাপাশি করেছেন সাংবাদিকতা। আগে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। এখন তার সম্পাদনায় টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে আজকের দেশবাসী নামে পত্রিকা। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে আগলে রেখে আওয়ামী লীগ পরিবারের লাখো সন্তান নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বৃদ্ধ বয়সেও কাজ করে যাচ্ছেন।
পারিবারিক সূত্র মতে, ফজলুর রহমান ফারুকের রাজনীতিতে হাতেখড়ি ১৯৬০ সালে। সে সময় তিনি ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাষ্টার্স পাস করেন।
তিনি ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় কারাবরণ করেন। সেই সঙ্গে টাঙ্গাইল করটিয়া সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার হন।
এরপর ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৬৮ সালে ১১ দফা আন্দোলন কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য ১৯৬৯ এর গণঅভ্যূথ্থানে অংশগ্রহণ এবং কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে টাঙ্গাইল জেলার ১০৭টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি করেন এবং টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন। ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর নিজ নির্বাচনী এলাকা মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে ছাত্র-যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং ঢাকার বাইরে ৩ এপ্রিল প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ এর ১৮ এপ্রিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঢালু দিয়ে ভারতে যান এবং ১১ নম্বর সেক্টরের তুরা মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং সেন্টারে পলিটিক্যাল মটিভেটরের দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর মুজিব বাহিনী গঠন করা হলে টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। একই সালে দেশ ত্যাগের পর জুলাই-আগস্ট মাসে তদানীন্তন পাক সরকার অনুপস্থিতিতে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যপদ বাতিল করে। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত গণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে সবচেয়ে কম বয়সে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৪ সালে দেশের উন্নয়নের জন্য জাতীয় ঐক্যের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠিত হলে টাঙ্গাইল জেলা বাকশাল এর যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন। ১৯৮৪ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রথম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সালের ১৭ আক্টাবর পর্যন্ত কাউন্সিলরের মাধ্যমে একই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বিরোদী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সংগঠিত এবং অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার সারাদেশ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন শুরু করলে তিনি প্রতিবাদ এবং নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও নির্যাতিতদের পাশে থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেন। ১/১১ সময় শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তার মুক্তির দাবিতে জনমত গঠন করেন। ২০১১ সালে জাতিসংঘের ৬৬ তম সাধারণ পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রীর দলভূক্ত হয়ে অধিবেশনে যোগ দেন। ২০১১ সালে ২০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ও টাঙ্গাইল মহকুমা প্রেসক্লাব এবং টাঙ্গাইল মহকুমা মফস্বল সংবাদদাতা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭২ সালে রেডক্রসের আজীবন সদস্য পদ পান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা রেডক্রসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মির্জাপুর কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির লি. (বিআরডিবি) এর সভাপতি থাকাকালীন সময়ে মির্জাপুরের বিভিন্ন গ্রামে ১৭৭টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন।
১৯৭৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও ক্রিকেট উপ-পরিষদের সভাপতি এবং জেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া টাঙ্গাইলের শতবর্ষ প্রাচীন করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব ও টাঙ্গাইল ক্লাবের আজীবন সদস্য, টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের আজীবন সদস্য, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আজীবন সদস্য ও টাঙ্গাইল হার্ট ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মির্জাপুরের গোড়াই, দেওহাটা, কুড়িপাড়া, রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর ফুলকুড়ি শিশু নিকেতন ও মির্জাপুরের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
দেশের রাজনীতিতে ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে কিভাবে আরো বেশি নিয়োজিত রাখা যায় সেজন্য ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপান ভ্রমণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি ‘কেন সংগ্রাম করি’ নামে একটি বইও লিখেছেন।
ফজলুর রহমান খান ফারুক তার মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে টাঙ্গাইল জেলাকে মডেল জেলা হিসেবে রুপান্তর করার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি জাতীয় রাজনীতিতে তার মেধা কাজে লাগাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি তার নিজ উপজেলা মির্জাপুরকে আধুনিক মির্জাপুর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করেছেন।
আধুনিক মির্জাপুর গড়ার স্বপ্নপুরুষ দেশের কৃষককুলের নয়নমণি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অতন্দ্র প্রহরী ফজলুর রহমান ফারুক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী ফজলুর রহমান ফারুকের হাতের ছোঁয়ায় মির্জাপুরসহ টাঙ্গাইল জেলাকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন একাগ্রচিত্তে। মসজিদ-মন্দির, ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, ছিন্নমূল অসহায় মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বর্ষীয়ান এ নেতার গঠনমূলক চিন্তা-ভাবনার ভেতর দিয়ে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে মির্জাপুরসহ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত হবে সে লক্ষ্যেই তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ফজলুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের এই অপার সম্ভাবনাময় দেশটাকে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার যে স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর, সে আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্ব দরবারেও অনেক গুরুত্ব বহন করছে। তাছাড়া স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশে অর্থনৈতিক অবস্থার এক আমূল পরিবর্তন হবে।
নিজে রাজনীতি থেকে কখনো দূরে যেতে পারেননি। সেজন্য পরিবারের সদস্যদের রাজনীতির হাতে খরি দিয়েছেন। মোটকথা পুরো পরিবারটাই তার রাজনৈতিক পরিবার। বাবার রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস সামনে রেখে তার একমাত্র ছেলে খান আহমেদ শুভ বাবার পাশে থেকে দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছেন। শুভ দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মির্জাপুরে সকল ধরণের অনুষ্ঠানে নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন। তিনি বাবার মতো মির্জাপুরের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে ইতোমধ্যে প্রিয় মানুষের স্থান লাভ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক শুধু রাজনীতিতেই বঙ্গবন্ধুকে অনুস্মরণ করেননি বরং ব্যক্তি জীবনেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলেছেন। স্বাধীনতার পর থেকেই ফজলুর রহমানের একমাত্র পোশাক হচ্ছে মুজিব কোট। অন্য কোনো পোশাকে তাকে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন পোশাক আমার একটাই। সেটি হল মুজিব কোট। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এই পোশাকই থাকবে।
তার সহধর্মিণী মিসেস সুরাইয়া বেগম বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিজ সন্তানের মতো আগলে রাখার ইতিহাস কখনোই ভোলার মতো নয়। একমাত্র ছেলে খান আহমেদ শুভ বাবার পাশে থেকে জেলা যুবলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্ষীয়ান নেতা ফজলুর রহমান ফারুক দলের ভেতর কখনো কারো প্রতিপক্ষ হতে চাননি। সব সময় তিনি ভালো কাজের সহযোগী। এ জন্যই তিনি অনন্য-অসাধারণ একজন মানুষ। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির ইতিহাস খুবই কঠিন। অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে এই বর্ষিয়ান নেতাকে। দীর্ঘদিন টাঙ্গাইলে আওয়ামী রাজনীতিতে চলেছে দিধাবিভক্তী এবং আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি। নীতি আদর্শ নিয়ে কাজ করে ফজলুর রহমান ফারুক ঠিকই থেকেছেন সবার প্রিয় ফারুক ভাই হিসেবে। দল তার সেই নীতি আদর্শকে মূল্যায়ন করেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়াটাও তার নীতি আদর্শের প্রাপ্তি বলে অনেকেই মনে করেন।
#মানবকণ্ঠ