আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাজার থেকে কিছু জিনিস কিনে আনতে বলেছিল মা। সেই মতো বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ১৫ বছরের কিশোরী। পথে দেখা হয় পাড়ারই এক দাদার সঙ্গে। পাড়ার দাদা বাইকে করে বাজার পৌঁছে দেবে বলেছিল। পরিচিত যুবককে বিশ্বাস করে তাঁর বাইকে চেপেছিল নাবালিকা।
তার পরই দাদা বাইক ছুটিয়ে নিয়ে যায় একটি হোটেলে। সেখানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তার পর নামিয়ে দিয়ে যায় বাড়িতে। এবং এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ভাবে পর পর ২ দিন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পরিচিত যুবকের বিরুদ্ধে।
এর পর মেয়েটির মা নাবালিকাকে বাজার যেতে বললে, কিছুতেই রাজি হয়নি সে। এমনকি আগের ২ দিন বাজার গেলেও জিনিস কিনে আনেনি। বাড়ি এসে সে বলেছে, বাজারে জিনিস পাওয়া যায়নি। মেয়ের এই আচরণে সন্দেহ হয় মায়ের।
বাজারে যাওয়ার কথা বললেন মাথা যন্ত্রণা করছে বলে এড়িয়ে যাচ্ছিল ওই নাবালিকা। এর পর মা চেপে ধরতেই ধর্ষণের কথা জানায় সে। তার পরই ডিএলএফ-১ থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির মা। গুরুগ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার মায়ের দর্জির দোকান রয়েছে। সেই কাজেরই কিছু জিনিস আনতে মেয়েকে বাজারে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে তাঁকে বাইকে চাপিয়ে ছত্তারপুরের কাছে একটি হোটেলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত।
সেখানেই ধর্ষণ করে। পর পর ২ দিন এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার কথা কাউকে বললেন নির্যাতিতকে খুনের হুমকি অভিযুক্ত দিয়েছিলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।