এনায়েত করিম বিজয় (বাসাইল):
টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকার (সমকামীতা)’র অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারন দাবীতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ শেষে পরীক্ষা বর্জনের সিন্ধান্ত নেয়। পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রা অভিযুক্তকে অপসারনের আশ^াস দিলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাথুলীসাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম টাঙ্গাইলের আদালত পাড়ায় ভাড়া করা বাসায় পাশের বাসার এক ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রকে প্রাইভেট পড়ান । সেখানে গত একমাস আগে ওই ছাত্রকে বিভিন্ন ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে বলাৎকার করার অভিযোগ এনে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে মারধর করে। এ অভিযোগে বাসার মালিক ওই শিক্ষককে বাসা থেকে বের করে দেয়।
ঘটনাটি উপজেলার বাথুলীসাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের অপসারন দাবী করেছেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বাথুলীসাদী এলাকার বেশ কিছু লোক উঠে পড়ে লেগেছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ এর আগেও উপজেলার বাঘিল ফুলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে থাকার সময়ও এরকম অভিযোগ উঠেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। একজন শিক্ষক যদি এই চরিত্রের হয়, তাহলে সে শিক্ষার্থীদের কি শিক্ষা দিবে?
সে নিজেই খারাপ চরিত্রের লোক আমরা চাইনা এমন একজন শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে থাকুক। এ রকম শিক্ষকের কাছে তার সন্তানও নিরাপদ নয়, আর তো আমাদের সন্তান? আমরা তার অপসারন দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না । প্রায় এক মাস আগে অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে টাঙ্গাইলের এক বাসায় নিয়ে গেলে সেখানে অনেক লোকের সমাগম দেখি। সেখানে উপস্থিত হওয়ামাত্র জনতা আমাদের মারধর করলে অনুনয় বিনয় করে তাদের কাছ থেকে ছাড়া পাই। পরে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থ ত্যাগ করি। ভিকটিম ছেলে নিজে বলে সালাম স্যার আমাকে এই.. এই.. করেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুস ছালামের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগটি অস্কীকার করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাবুল আহমেদ বলেন. ঘটনাটি শুনেছি, কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
বাথুলীসাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লাল মাহমুদ বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মিটিং করে কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা রাজিককে আহবায়ক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত সালামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।