নিজস্ব প্রতিনিধি: ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় গরিব, দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর হাফিজুরের বিরুদ্ধে। গত নির্বাচনে তাকে ভোট না দেওয়ায় এক অসহায় মহিলার কার্ড ছিড়ে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বাসাইল পৌরসভায় ৩হাজার ৮১জন অসহায় ব্যক্তিকে ভিজিএফ’র কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান ২৭৫টি কার্ড পান। সেই সাথে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ববিতা আক্তারের ৫০টিসহ ৩২৫টি কার্ডের চাল তার দায়িত্বে থাকে। শনিবার (১৮ আগস্ট) বাসাইল খাদ্যগুদামে এসব চাল বিতরণ করা হয়। প্রত্যেকের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ থাকলেও কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান ২০ কেজির পরিবর্তে ১৬ থেকে ১৭ কেজি করে বিতরণ করার অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ববিতা আক্তারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ববিতা আক্তারের পক্ষ থেকে কার্ড পাওয়া মুন্নি বেগম চাল নিতে আসলে তার কার্ড ছিড়ে ফেলেন কাউন্সিলর হাফিজুর। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষে মধ্যে ধাওয়া পাল্লা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ববিতা আক্তার বলেন, ‘চাল কম দেওয়ার বিষয়টি আমি প্রতিবাদ করলে আমার ওপর কাউন্সিলর হাফিজুর ক্ষিপ্ত হয়। পরে তার সাথে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়ি। এসময় হাফিজুরকে নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় আমার দেওয়া এক মহিলার কার্ড ছিড়ে ফেলেন তিনি। আমার ৫০টি কার্ডের মধ্যে ৩৮টি কার্ডের চাল দেওয়া হয়নি।’
অভিযুক্ত কাউন্সিলর হাফিজুর রহমার বলেন, ‘চাল দেওয়ার সময় হঠাৎ আমার এক ভগ্নিপতির অসুস্থতার খবর পেয়ে আমি অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়ে হাসপাতালে যাই। কিছুক্ষণ পরেই আমি আবার এসে চাল দিতে থাকি। এসময় চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠে। চাল বাহিরে পরিমাপ করে কম দেওয়ার অভিযোগ করে। চক্রান্ত করে আমার মানহানি করার চেষ্টা করছে একটি মহল। ২০ কেজির মধ্যে সাড়ে ১৯ কেজি হতে পারে। তবে ১৬ থেকে ১৭ কেজি হতে পারে না।’
তিনি বলেন, মহিলা কাউন্সিলর ববিতা আক্তারের কার্ড পাওয়ার ব্যাপারে জটিলতা ছিল। বিষয়টি আমি ইউএনও ও মেয়র মহোদয়কে জানিয়েছি।
বাসাইল পৌর মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে ঢাকায় আছি। বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন্নাহার স্বপ্না বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চাল কম দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে সঠিকভাবে চাল বিতরণ করা হয়।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।