সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
Homeটাঙ্গাইল জেলাবাসে গণধর্ষণের পর হত্যা: রুপার লাশ তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা: রুপার লাশ তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

  নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্তবাসে গণধর্ষণের পর হত্যা করা তাড়াশের রুপা খাতুনের (২৭) লাশ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন নিহত রূপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন।উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রুপা বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার লক্ষ্যে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে সন্ধ্যা সাতটার দিকে রওনা হন। তিনি বগুড়া গিয়েছিলেন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে। ওইদিন তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মধুপুরের বনে ফেলে যায়। শনিবার বেওয়ারিশ হিসেবে মধুপুরে লাশ দাফন করা হয়। গত সোমবার তার পরিচয় মেলে। রূপা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের মৃত জিলহাস প্রামাণিকের মেয়ে। রূপা ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রমোশনাল বিভাগে শেরপুরে চাকরির পাশাপাশি ঢাকা আইডিয়াল ল কলেজে পড়তেন। গ্রেফতারকৃত ছোঁয়া পরিবহনের ৫ শ্রমিকের মধ্যে তিনজন রুপাকে ধর্ষণ করে। চালক ও সুপারভাইজার ধর্ষণ না করলেও লাশ গুমের বিষয়ে সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তিন ধর্ষক মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ধর্ষকদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, চলন্তবাসে কলেজছাত্রী রুপা প্রামাণিককে তিন ধর্ষক পালাক্রমে ধর্ষণের পর তিনি অনেক্ষণ চুপচাপ ছিলেন। বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় এলেই রুপা বাস থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দেয় ধর্ষকরা। তাদের ধারণা ছিল রুপা যদি বাস থেকে নেমে যায় তাহলে তাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। মানুষ জেনে গেলে আর রক্ষা থাকবে না। রুপাকে যখন বাস থেকে নামতে বাধা দেয়া হচ্ছিল তখন রুপা চিৎকার করতে থাকেন। কেউ যাতে চিৎকার শুনতে না পায়, ধর্ষকরা প্রথমে রুপার গলা চেপে ধরে। কিন্তু কিছুতেই যখন রুপার চিৎকার বন্ধ করা যাচ্ছিল না তখন ঘাড় মটকে তাকে হত্যা করে।

রুপা চিৎকার না করে কৌশলে বা আপস করে ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে চাননি। প্রতিবাদ করে ধর্ষণ ঠেকাতে না পারলেও বাঁচার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়েছেন তিনি। কিন্তু তিন নরপশুর সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। নির্মমভাবে মরতে হলো পাষণ্ডদের হাতে।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, ধর্ষকরা বুঝতে পেরেছিল রুপার চিৎকার থামাতে না পারলে রাস্তার আশপাশের কেউ শুনে যাবে এবং তাতে তারা ধরা পড়বে।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -