নিউজ ডেস্ক: সংগৃহীত রশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতেই গোল পাওয়াটা কঠিন হয়ে উঠেছে ব্রাজিল দলের জন্য। বহু সুযোগ শুধু ভাল ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলে পরিণত করতে পারেননি নেইমার-জেসুসরা। ব্রাজিল দলের জন্য চমক হয়ে এসেছিলো সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র ম্যাচটি। তারপর কোস্টারিকার বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে তিতের দল। খেলার ৯১ ও ৯৭ মিনিটের দুই গোলে শেষ রক্ষা হলেও গোল পেতে যে বাড়তি ঘাম ঝড়াতে হচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে ব্রাজিল দল এখন গোলবারের সামনে অনুশীলনে জোর দিচ্ছে। চলতি বিশ্বকাপে গড়ে ১৪.৩টি শটে একবার গোলের দেখা পেয়েছে ব্রাজিল।
কোস্টারিকার বিপক্ষে কুতিনহোর শেষ মুহূর্তের গোলের আগে তা ছিল গড়ে ৪১ শট! কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের কাছে যেভাবে বারবার পরাস্ত হয়েছেন নেইমাররা, তাতে তিতের কপালে ভাঁজ পড়া স্বাভাবিক। ফলে এমন চলতে থাকলে সার্বিয়ার বিপক্ষে সেলেকাওদের যে ভোগান্তি হবে তা ভালভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন ব্রাজিল কোচ। গত দুই অনুশীলন সেশনে তিতে তার খেলোয়াড়দের দিয়ে গোলবারের আশপাশে খেলে ফিনিশিং দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এইজন্য তিনি এমন পরিস্থিতি তৈরি করে দেন যাতে মনে হবে সত্যিকারের ম্যাচের পরিস্থিতি। ব্রাজিল দল অনুশীলনে ডি বক্সের ভেতরে ক্রসিং আর শুটিং নিয়ে বাড়তি সময় ব্যয় করছে। এর মধ্যে একজন একজন করে গোলরক্ষকের সামনে শুটিং অনুশীলন, বিভিন্ন সম্ভাব্য কোণ থেকে শট নেওয়া এবং কৌশলগত পাসিংয়ে খুব বেশি জোর দিয়েছেন তিতে। তার মানে ব্রাজিল দলের তিন গোলরক্ষক এলিসন, এদারসন ও ক্যাসিওর সামনে একেকটা গোলা ছুড়ে অনুশীলন করেছেন নেইমাররা। তবে অনুশীলনে শুধু আক্রমণভাগ নয়, অংশ নিয়েছেন ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার, উইঙ্গারসহ প্রত্যেকেই।
সবাইকেই গোলবারের সামনে দক্ষ করে তৈরি করতে চাইছেন তিতে। তিতে তার খেলোয়াড়দের বলেছেন যে তাদের টেকনিক্যাল দক্ষতায় কোনো ঘাটতি নেই, বরং মানসিক শক্তির ঘাটতি আছে। জেতার চিন্তা মাথায় নিয়ে খেলতে গিয়েই বাড়তি চাপে ফিনিশিংয়ে গড়বড় হচ্ছে বলে মনে করেন কোচ তিতে। ফলে এই দিকগুলো নিয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ।