বিশ্বকাপে দেশের হয়ে একটি ম্যাচও খেলেননি। তাই সুভাসিচ-মদ্রিচদের মতো রানার্স পদক প্রাপ্য নয় তার। এই যুক্তিতেই বিশ্বকাপের রূপার পদক প্রত্যাখান করেছেন ক্রোট তারকা নিকোলা কালিনিচ।
জাতীয় দলে থাকলেও রাশিয়া বিশ্বকাপে এক ম্যাচের জন্য সুযোগ পাননি এই স্ট্রাইকার। কোচের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়ানোর উদাহরণ রয়েছে। বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম ম্যাচে সাইডলাইনের ধারে ক্রোট কোচ জ্লাতকো দালিচের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়েছিলেন নিকোলা। পরবর্তী সময়ে কোচ তাকে ৮৫ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামাতে চাইলে পিঠের চোটের কারণ দেখিয়ে মাঠে নামেননি কালিনিচ।
এর আগেও নাকি ব্রাজিলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামতে অস্বীকার করেছিলেন এই ফুটবলার। ট্রেনিং সেশনেও অনিয়মিত হওয়ার কারণে কোচের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন ক্রোট স্ট্রাইকার। পরে বিশ্বকাপ চলাকালীনই তাঁকে দেশে ফিরতে বলা হয়।
ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-৪ গোলে ম্যাচ হারে মান্দুকিচরা। রূপার পদক নিয়েই দেশে ফিরতে হয় প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা ক্রোয়েশিয়াকে। দলের অন্য ফুটবলারদের মতো কালিনিচ রূপোর পদক পেয়ে জানিয়েছেন, ‘আমাকে পদক দিয়ে সন্মান জানানোর জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি মনে করি, এই পদকের যোগ্য নই।