নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে খেলতে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট। আগামী ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন।
তবে সে ম্যাচের আগেই বিশ্বকাপে নিজেদের বিশ বছর পূর্তি পেয়ে গেল বাংলাদেশ। আজ থেকে ঠিক ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ১৭ মে তারিখে ইংল্যান্ডের মাটিতেই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ।
এরপর পেরিয়ে গেছে ২০টি বছর, বাংলাদেশ খেলেছে পরের সবকয়টি বিশ্বকাপে, খেলবে ২০১৯ সালে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপেও। বিশ বছর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম প্রতিপক্ষ ছিলো নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে ৬ উইকেটে হার দিয়েই ক্রিকেটে বিশ্ব আসরে নিজেদের যাত্রা শুরু করে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল।
তবে জয় পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ব্যাটে ভর করে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচেই ২২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এক ম্যাচ পর বিশ্বকাপের নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সে বিশ্বকাপটি স্মরণীয় করে রাখে টাইগাররা।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপটি ভুলে যেতেই চাইবে বাংলাদেশ দল। কারণ সেবার কানাডার বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয় আসর, যার সমাপ্তি ঘটে কেনিয়ার বিপক্ষে পরাজয়ে। মাঝে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি।
ঠিক পরের বিশ্বকাপটিই আবার স্বপ্নের মতো পার করে বাংলাদেশ দল। সে আসরের শুরুটাই হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে। পরে বারমুডাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে হাবিবুল বাশারের দল। পরে সেরা আটের লড়াইয়ে তৎকালীন নম্বর ওয়ান টিম দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ভূপাতিৎ করে বাংলাদেশ।
২০১১ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ আয়োজন ছিলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যায় তারা। তবে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় টাইগাররা। তবু নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। এর পেছনে বড় কারণ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা।
বাংলাদেশ নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেরা সময় কাটিয়েছে ২০১৫ সালের আসরে। কারণ সেবারই প্রথম ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের নকআউট পর্বে যায় তারা। আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পায় মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। এর সঙ্গে যোগ হয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচের ১ পয়েন্ট। বাংলাদেশ পেয়ে যায় কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। তবে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় শেষ আটেই থামে সেবারের যাত্রা।
সাফল্য-ব্যর্থতায় মোড়া পাঁচ বিশ্বকাপ শেষ করে এবার ষষ্ঠ আসরের অপেক্ষায় বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডটিকে নিজেদের ইতিহাসেরই সেরা বলে মানছেন প্রায় সবাই। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে এবারের বিশ্বকাপে চমক দেখাবে বাংলাদেশ- এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।