মায়ের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য কানিজ ফাতেমা ও তার স্বামী অমিত হাসান।
তাদের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরাম গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে ওই দম্পতি মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন।
কানিজ ফাতেমা লিখিত বক্তব্যে জানান, হাতিবান্দা ইউনিয়নের সংরক্ষিত (৭-৮-৯) আসনের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন তার মা। কানিজের মা তার বাবার বন্ধু মির্জাপুর উপজেলার অভিতার গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে অমিত হাসানের সঙ্গে তার বিয়ের ব্যাপারে মৌখিক সিদ্ধান্ত দেন।
গত ১৮ সেপ্টম্বর মা শাহিনুর আক্তার মারা গেলে এলাকাবাসী কানিজ ফাতেমাকে ওই সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য হিসিবে নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর কানিজ তার মায়ের পছন্দের ছেলেকে বিয়ের ব্যাপারে বাবার সঙ্গে কথা বললে তার বাবা এতে অস্বীকৃতি জানান।
মায়ের দেয়া কথা রক্ষার জন্য বাবার অমতে কানিজ গাজীপুরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। পরে তারা উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজির মাধ্যমে নিকাহ রেজিস্ট্রি করেন।
বিয়ের পর স্বামীসহ বাবার বাড়িতে গেলে বাবা তাদের মেনে না নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে বাবা মিজানুর রহমান মেয়ে কানিজকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে সখীপুর থানায় অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় কানিজের স্বামী আমিত হাসান, ছোট ভাই হামিদুর রহমান, চাচা আবুল কালাম আজাদ এবং পাশের খাইরুল ও সোহেলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অমিতের বাড়িতে হানা দিলে তারা পালিয়ে যান। বাবার মিথ্যে অভিযোগ এবং পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ সময় কানিজ ফাতেমার স্বামী অমিত হাসান, অমিতের চাচা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
সখীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়েকে না পেয়ে বাবা মিজানুর রহমান থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মেয়ের সন্ধায় পাওয়া গেছে জেনে তিনি আর মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কানিজের বাবা মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়ের সন্ধান না পেয়ে থানায় ডায়েরি করেছি।
মির্জাপুরের বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মিল্টনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মীমাংসার অনেক চেষ্টা করেও মেয়ের বাবাকে রাজি করাতে পারেনি।