শুক্রবার, নভেম্বর ৮, ২০২৪
Homeটাঙ্গাইল জেলাভূঞাপুরে ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ

ভূঞাপুরে ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অফিসের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-অপারেটর (সহকারী প্রশানিক কর্মকর্তা) মো. সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওপেন টাইপ স্পীটবোট মেরামত ও তেলের ক্রয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সস্প্রতি সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্পীটবোট চালক মো. রফিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারি যানবাহন পরিবহন পরিচালক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত বাজেট থেকে ভূঞাপুরের ওপেন টাইপ স্পীটবোট মেরামত ও তেল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ইউএনও অফিসে আসে। সেই বরাদ্দকৃত অর্থ স্পীটবোট মেরামত খরচ ও তেল ক্রয়ের জন্য সাইদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হলে চলতি বছরের গত জুন মাসে দুই ধাপে অর্থ উত্তোলন করে স্পীটবোট পরিচালকে মেরামত খরচ ও তেল ক্রয়ের জন্য তা প্রদান দেননি তিনি।

এদিকে, মেরামতের অভাবে স্পীটবোটটি দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় স্পীটবোট মেরামতের ব্যাপারে ইউএনও কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বরাদ্দকৃত অর্থ সাইদুর রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ৫ হাজার টাকা সরকারি ভ্যাট বাবদ অবশিষ্ট ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা তা চালককে না দিয়ে কৌশলে নিজেই আত্মসাৎ করে। পরে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে স্পীটবোট চালক রফিকুল ইসলাম।

চালক রফিকুল ইসলাম জানান ‘স্পীটবোট মেরামত ও তেলের ক্রয়ের জন্য সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। দায়িত্ব পাওয়া সেই অর্থ সাইদুর রহমান চালককে প্রদান না করে ভ্যাট বাবদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাত করে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে কথা বলায় আমাকে প্রতিনিয়ত নানা ধরণের হুমকি ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন সে’।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর ইউএনও অফিসের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-অপারেটর (সহকারী প্রশানিক কর্মকর্তা) মো. সাইদুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন- ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনি বসের সাথে কথা বলুন’।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন- ‘এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি’।

উল্লেখ্য, সাইদুর রহমান ভূঞাপুরে যোগদানের পূর্বে টাঙ্গাইলের বাসাইলে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় ইউএনও’র স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে বলে জানা যায়। এতে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-অপারেটর (সহকারী প্রশানিক কর্মকর্তা) পদটি এখনো তা স্থায়ী হয়নি।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -