ফটোওয়াক প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মোট ৩০ জন আলোকচিত্রী অংশ নেন। প্রতিযোগীরা নানা প্রজাতির প্রজাপতি, পাখি, কীট-পতঙ্গ, প্রাকৃতিক দৃশ্যসহ বিভিন্ন আলোকচিত্র তাদের ক্যামেরায় তুলে আনেন।

 

সংগঠনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও বিগত দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

প্রতিযোগিতায় ৫ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্ত পাচ জন হলেন যথাত্রমে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন রাহাত খন্দকার, যৌথ ভাবে দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাইদুর রহমান ও নজরুল ইসলাম এবং যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত জাহিদ হাসান ও শাহাদাত হোসেন।

সভাপতি শামিম আকন্দ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রানা এবং কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

সংগঠনের সভাপতি শামীম আকন্দ বলেন, এই সংগঠনের উদ্দেশ্য— মধুপুরের বন্যপ্রাণী, প্রাকৃতিক সম্পদ, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার দেশ ও বহির্বিশ্বে তুলে ধরা। অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংগঠনটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী, তথ্যচিত্র সহ নানা গবেষণাধর্মী কাজ করে যাবে আগামী দিনগুলোতে।

সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, মধুপুর বন বাংলাদেশ এর জন্য ভৌগোলিক গত ভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ , যেখানে নানা বিপিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী, কীটপতঙ্গ, উদ্ভিদ এখনো বিদ্যমান।আমাদের সচেতনতার অভাবে এই বন আজ ধ্বংসের মুখে । আমরা চাই মধুপুর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এর মাধ্যমে মধুপুর বন, মধুপুর এর সংস্কৃতি সকলের সামনে তুলে ধরতে । তিনি প্রতিযোগীদের জন্য আলোকচিত্রের নানা নিয়ম কানুন, ভুল-ভ্রান্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনাও করেন। অতিসত্বর মধুপুরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন যেখানে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন আলোকচিত্রীর ছবি থাকবে।