মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; হাওড়ের মানুষের পাশে তারুণ্যের জয়গান

0
230

 

রাখী, সিলেটে হাওড়ের মানুষগুলোর অবস্থা ভালো না।বন্যায় তো মাঠের ধান সব শেষ!!
হ্যা, কদিন ধরে তো পত্র-পত্রিকায় শুধু এসব ই দেখছি।
তাদের জন্য তো কিছু একটা করা দরকার, হুম ঠিক বলেছিস । তুই জাকিরকে বল, অামি শুভ  কে বলছি।।।
কথা হচ্ছিল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান  ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী রাখী বসাক অার হোসেন তূর্জের মাঝে।
যেই ভাবনা সেই কাজ । শুরু হয় চার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মানবতার গল্প। ক্যাম্পাসে চললো ক্যাম্পেইন। অার তাদের ডাকে সারা দিয়ে ছুটে এলো অারো ৫০ জন ছাত্র -ছাত্রী । কারো হাতে একতারা,কারো হাতে ঢোল,তবলা গিটার, অাবার কারো হাতে টাকা সংগ্রহের বাক্স। ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে পড়লো একঝাক তারুণ্যের  দল । শহরের রাস্তার মোড়ে, বাস স্টান্ড,রেল স্টেশনে বসলো গানের অাসর। গানের সুরে ধ্বণিত হলো হাওড় বাসীর জন্য সাহায্যের বার্তা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো টাঙ্গাইলের অপামর জনতা। তাদের সাথে যোগ দিতে শুরু করলো শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। মামবতার তাগিদে সবাই ছড়িয়ে পড়লো শহরের বিভিন্ন
অানাছে-কানাছে হাওড় বাসীর জন্য  সাহায্যের উদাত্ত অাহবানে।
একে একে যোগ দিতে শুরু করলো শহরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রচারণার অাড়ালে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
৬ তারিখ সন্ধায় শহরের নিড়ালা মোরে অায়োজন করা হলো হাওড় বাসীর সাহায্যের জন্য কনসার্ট। সমন্বয় করা হলো বিভিন্ন গ্রুপের টাকা। কেনা হলো প্রয়োজনীয় সাহায্য উপকরণ। এবার পালা প্যাকেট তৈরি।

কাজে লেগে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাক তরুণ-তরুণী। প্রতি প্যাকেটে দেওয়া হলো
চাল-৫কেজি,ডাল- ২কেজি,তেল- ২ কেজি,আটা- ৩ কেজি,চিরা- ২ কেজি,লবন- ১ কেজি,মোম- ১০ টি,স্যালাইন- ২০টি (এক বক্স),পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাব্লেট- ১০ টি,ম্যাচ বক্স- ২ টি। লক্ষ্য ছিলো ৩’শত বস্তা ত্রাণ সহয়তার, তৈরি হলো চারশো বস্তা।
প্রস্তুতি শেষ, যেতে হবে এবার সিলেটের বন্যা দূর্গত হাওড় বাসীর কাছে। পৌঁছে দিতে হবে ভালোবাসার সহায়তা, ফোঁটাতে হবে মুখে এক চিলতে হাঁসি।
সোমবার রাতে  ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দিন ভর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার দক্ষিণ শ্রীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিতরণ করে তারা।

এব্যাপারে মুক্তার অাহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্রান্তি কালে তরুণরাই এগিয়ে এসেছে। অামরা যদি সবাই এভাবে একটু একটু করে এগিয়ে অাসি তবে শুধু সিলেটের হাওড় নয়, দেশের যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব।  দিন শেষে রাত অাসে। মানবতার জয়গান চলতে থাকে…..
লেখা পাঠিয়েছেন :

অাজাদ হৃদয়,
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।