মির্জাপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থীকে কোমল পানীয় সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপফতারকৃত রাকিবুল ও সোহান আহম্মেদকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল হকের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক তাদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য ২০ নভেম্বর সকালে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একই এলাকার আতিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে রাকিবুল ইসলাম সিকদার (২৪), রফিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে সোহান আহম্মেদ পাশের বেলতৈল গ্রামের জসিম সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ির একটি কক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে কোমল পানীয় সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে রাকিবুল ধর্ষণ করে।এতে সহযোগিতা করে সোহান আহম্মেদ, জসিম সিকদার ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম।ধর্ষকের পরিববার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি নানাভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সোমবার রাতে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ধর্ষক রাকিবুল ইসলাম সিকদারসহ চারজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই রাতেই ধর্ষক রাকিবুল ইসলাম সিকদার ও তার সহযোগি সোহান আহম্মেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।অপর দুই সহযোগি জসিম ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম পলাতক রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানিয়েছেন এ ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক বংশাই স্কুল এন্ড কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম সিকদার, আজগানা ইউপি চেয়ারম্যান রকিফুল ইসলাম সিকদার ও তার ছোট ভাই মো. সাহাদত সিকদারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।